দিনাজপুরে বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ শিশুসহ ১৫ জন জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের অচিন্তপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

বিজিবির ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ বি এম জাহিদুল করিম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাহিদুল করিম জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে অচিন্তপুর সীমান্তের ২৮৫ নম্বর সীমানা পিলার এলাকায় হঠাৎ আলো নিভিয়ে দেয় বিএসএফ। এ সময় সেখানে বিজিবি সদস্যরা নিয়মিত টহলে ছিলেন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা ১৫ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেন। পরে বিজিবি ২৯ ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়নের আওতায় অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। আটক ১৫ জনের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ, বাকিরা শিশু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সবাই নড়াইলের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর কয়েকজনের কাছ থেকে ব্যবহৃত মুঠোফোন ও নগদ অর্থ কেড়ে নেন বিএসএফ সদস্যরা।

বিজিবি জানায়, ওই ১৫ জন বর্তমানে অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। তাঁদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, লালমনিরহাট ও ময়মনসিংহের সীমান্ত দিয়ে ৮৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সিলেটের জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের ছাতক, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। তাঁদের আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। বিজিবির সদর দপ্তর সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ২১০ জনকে পুশ–ইন করেছে ভারত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ১৫ জন

এছাড়াও পড়ুন:

সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দুজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন এলাকার নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার চায়নার মোড় এলাকার আবদুল জলিল (৪৫) ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার গ্রামের পসর আলীর ছেলে শহীদ মিয়া (৪২)। অন্যদিকে আহত ব্যক্তিরা হলেন শহীদ মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া আক্তার (৩৩) ও একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারী। তাঁরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ সেতু এলাকা থেকে একটি অটোরিকশায় করে ওই চার যাত্রী নেত্রকোনার উদ্দেশে রওনা হন। নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের নারান্দিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বালুভর্তি একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় অটোরিকশাটি। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।

শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • দেশজুড়ে বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
  • জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে: মামুনুল হক
  • এনসিএল: তিন সেঞ্চুরি ও মিরপুরে উইকেটের মিছিল
  • রংপুরকে পেয়েই আবার নাঈমের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি মাহফিজুল ও সাদিকুরেরও
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
  • রাতে বাড়িতে পুলিশের অভিযান, ভোরে ধানখেতে পাওয়া গেল রক্তাক্ত মরদেহ
  • সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২