Samakal:
2025-06-14@06:37:52 GMT

বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন শান্ত

Published: 13th, June 2025 GMT

বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন শান্ত

এখন যে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা, টুর্নামেন্টের শুরুতে এই প্রোটিয়ারাই পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের শুরুতে প্রথম পাঁচ টেস্টের একটিতেও জিততে পারেনি তারা, সে সময় বাংলাদেশ পাঁচ টেস্টের দুটিতে জয় পায়। অথচ দুই বছরের সেই টেস্ট চক্রের শেষে এসে কিনা প্রোটিয়ারা ফাইনাল খেলছে আর শান্তরা ৭ নম্বরে থেকে খুঁজছেন সান্ত্বনা।

এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশ কি ফাইনাল খেলতে পারবে? এমন জিজ্ঞাসায় বাস্তবতা মেনে নিতে বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। ‘এটা অনেক বড় স্বপ্ন। এত দূরে যদি এখনই চিন্তা করি, তাহলে বোকামি হবে। আমার কাছে মনে হয় ছোট ছোটভাবে যদি আমরা এগোতে পারি, তাহলে ভালো।’ ২০২৫ থেকে ২০২৭ নতুন টেস্ট চক্রের প্রথম সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা রওনা দেওয়ার আগে গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এভাবেই বাস্তবতা তুলে ধরেন শান্ত।

এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগে এমনই এক সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছিলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাচ্ছি।’ তা নিয়ে কম ট্রল হননি অধিনায়ক। তাই এবার ক্যামেরার সামনে অনেক বেশি সংযত শান্ত। ‘আমরা যখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছিলাম, তার প্রথম চক্রে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছিলাম। দ্বিতীয় চক্রে এসে গেল আসরে চারটি টেস্ট জিতেছি। তার মানে একটু উন্নতি হয়েছে। এই চক্রে লক্ষ্য থাকবে কীভাবে আমরা আরও দুই থেকে তিনটি ম্যাচ বেশি জিততে পারি। এই বছর তো অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যেন ৪, ৫ কিংবা ছয়ের মধ্যে থাকতে পারি।’

নতুন টেস্ট চক্রে দুই বছরে বাংলাদেশ ১২টি টেস্ট খেলবে। যার ছয়টি দেশের মাঠে, বাকিগুলো বিদেশে। ঘরের মাঠের সুবিধাগুলো বেশি নিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘ঘরের মাঠে ম্যাচগুলো জিততে হবে। আগের আসরে আমরা ঘরের মাঠে বাজে খেলেছি (ছয় টেস্টের মধ্যে একটিতে জয়)। ঘরের মাঠে কীভাবে জিততে পারি, সেই পরিকল্পনা ভালোভাবে করতে হবে।’

গলে ১৭ জুন সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২৫ জুন কলম্বোতে দ্বিতীয় টেস্ট। আগের চক্রে সিলেট ও চট্টগ্রামে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে  দুই টেস্ট হেরেছিলেন শান্তরা। নতুন চক্রে সেই বদলা নেওয়ার সুযোগ সামনে। তবে স্কোয়াডে বেশ কিছু পরিবর্তন ভাবনার জায়গা তৈরি করেছে। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। এখন দলে প্রতিষ্ঠিত ওপেনার বলতে সাদমান ইসলাম অনিক আর এনামুল হক বিজয়।

তবে এ দু’জনই যে ওপেন করবেন, তা নিশ্চিত করে বলেননি শান্ত। বরং মিরপুরে অনুশীলন ম্যাচে শান্তকে ওপেন করতে দেখা গেছে। ‘ওপেনিং নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। তাহলে বিষয়টি অনেক আগে থেকেই খোলামেলা হয়ে যাবে। আমি যে কোনো পজিশনে খেলতে প্রস্তুত। আমাদের আরও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আছে। দেখা যাক।’

তবে সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের কাছে একটি টেস্ট হারার পর এই দল ঘিরে সমর্থকদের আস্থা কমেছে। ব্যাপারটি মেনে নিয়েই শান্ত জানান, তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন লঙ্কা সফর দিয়েই। সেই সঙ্গে দুই বছর পর টেস্ট দলে ফেরা পেসার এবাদতকে নিয়েও অনেক প্রত্যাশার কথা শোনান শান্ত। গতকালই দলের কোচিং স্টাফসহ ১০ জনের একটি বহর শ্রীলঙ্কা রওনা দিয়েছে। বাকিরা যাবেন আজ দুপুরে। দুই টেস্টের সিরিজ শেষ করে লঙ্কা সফরে তিন ওয়ানডে এবং তিন টি২০ খেলবে বাংলাদেশ দল।

শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট 
ম্যাচ                    তারিখ                        ভেন্যু
প্রথম টেস্ট       ১৭-২১ জুন                        গল
দ্বিতীয় টেস্ট      ২৫-২৯ জুন                     কলম্বো
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘর র ম ঠ ই বছর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের যত ঘুঘু 

মনিরা হাঁসের (বৈকাল টিল) সন্ধানে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বটতলা ঘাট থেকে ছেড়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আধঘণ্টায় সিমলা পার্কের উল্টো পাশের চরের কাছে আসতেই একটি ঘুঘুকে পাড়ে বসে থাকতে দেখলাম। দ্রুত একটি ছবি তুলে ওটির পরিচয় নিশ্চিত হলাম। এই দুল৴ভ পাখিটি প্রথম দেখি ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ কুয়াশাভরা সকালে হবিগঞ্জের কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে। এরপর ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি সুন্দরবনের করমজলে। 

পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর কাছ থেকে ভালো ছবি তোলার আশায় ধীরে ধীরে নৌকা পাখিটির কাছাকাছি নিতে থাকি। তবে নৌকা যতই কাছে যাক না কেন, সেটি কিন্তু অবিচল—একটুও নড়ছে না, চুপচাপ বসে আছে। কৌতূহলবশত নৌকা থেকে পাড়ে নামলাম, পাখিটির একদম কাছে চলে গেলাম। এরপর সেটি ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করল। আমরাও পিছু নিলাম। কিছুক্ষণ পর অনেকটা অনিচ্ছায় উড়াল দিল পাখিটি।

ঘুঘু পাখি কবুতরের মতো একই গোত্র কোলাম্বিডির (কপোত) সদস্য। ঘুঘুর দেহ কবুতরের মতোই তুলনামূলক ভারী, মাথা ছোট, চঞ্চু ও পা খাটো। ওড়ার পেশি শক্তিশালী। তাই দ্রুত ও দীর্ঘক্ষণ উড়তে সক্ষম। লেজ হাতপাখার মতো বিস্তৃত। তবে আকারে কবুতরের চেয়ে ছোট হয়। এরাও স্ত্রী-পুরুষনির্বিশেষ পিত্তথলিতে উৎপন্ন ক্ষীরের মতো অর্ধতরল দুধ খাইয়ে ছানাগুলোকে বড় করে তোলে, যা ‘পায়রা বা ঘুঘুর দুধ’ নামে পরিচিত। এদেশে এই গোত্রের যে ১৮টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ১০টি কবুতর ও ৮টি ঘুঘু রয়েছে। প্রায় অর্ধেকের বেশি প্রজাতি সারা বছর প্রজনন করে। আয়ুষ্কাল চার থেকে ছয় বছর। এখানে এ পাখির সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো।

রামঘুঘু (ওরিয়েন্টাল টার্টল ডাব): ফিচারের শুরুতে লালচে বাদামি বর্ণের যে ঘুঘুর গল্প বললাম, সেটি এ দেশের দুর্লভ আবাসিক পাখি রাম, কইতর বা গোলাপ ঘুঘু। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বহু দেশে এর দেখা মেলে। প্রাপ্তবয়স্ক ঘুঘুর দেহের দৈর্ঘ্য ৩৩ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১৬৫ থেকে ২৭৪ গ্রাম। 

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উড়ন্ত ধবল ঘুঘু

সম্পর্কিত নিবন্ধ