জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আনা প্রস্তাবে ভারত ভোটদানে বিরত থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের (বিজেপি সরকার) তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস এমপি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি এই সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক ও হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। খবর এএনআই

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, এই সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই। প্রকৃত আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের জন্য ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস প্রয়োজন।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন- যখন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন, তখন ভারত কেবল নীরব সমর্থকই থাকছে না, বরং ইসরায়েলের ইরানে হামলা এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনাকে সমর্থন দিয়ে দেশটিকে উৎসাহিত করছে। এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক সব নীতিমালার পরিপন্থি।

তিনি লেখেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। একটি গোটা জনসংখ্যাকে অবরুদ্ধ করে অনাহারে মারা হচ্ছে, অথচ আমরা কোনও অবস্থান নিচ্ছি না—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই পদক্ষেপকে ভারতের বিরোধী উপনিবেশবাদী ঐতিহ্য থেকে করুণ পশ্চাদপসরণ হিসেবে আখ্যা দেন।

তিনি আরও বলেন- কীভাবে আমরা একটি জাতি হিসেবে আমাদের সংবিধানের নীতিমালা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে পারি; যেগুলো শান্তি ও মানবতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের অবস্থান গড়ে তুলেছিল।

কংগ্রেস এই নেত্রী বলেন, ভারত অতীতে বারবার ন্যায়ের পক্ষে সাহসিকতা দেখিয়েছে। আজকের বিভাজিত বিশ্বে আমাদের উচিত মানবতার পক্ষে আওয়াজ তোলা, সত্য ও অহিংসার পক্ষে নির্ভয়ে দাঁড়ানো।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গাজায় অবিলম্বে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বানে একটি স্থায়ী প্রস্তাব গ্রহণ করে। এতে ১৪৯টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, ১৯টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে এবং ১২টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

গত বছর শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে একটি ব্যাগ বহন করতে দেখা যায়, যাতে ‘Palestine’ লেখা ছিল এবং তাতে ফিলিস্তিনি সংহতির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত তরমুজের চিহ্নসহ বিভিন্ন প্রতীক ছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ