টয়োটা মোটরে আবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আকিও টয়োডা। বিশ্বের শীর্ষ বিক্রিত গাড়ি উৎপাদক টয়োটার প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা সাকিচি টয়োডার নাতি আকিও টয়োডা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁকে আবার নির্বাচিত করা হয়। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম অনেক বিনিয়োগকারী তাঁর বিরোধিতা করেননি। তিনি গত বছর ৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আকিও টয়োডা সর্বশেষ ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে আরেকটি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের জন্য প্রশ্নের মুখে পড়েন। অনেক বিনিয়োগকারী এরই মধ্যে টয়োটা মোটরের টয়োটা ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে কেনার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আপত্তি রয়েছে এই অধিগ্রহণে। টয়োটা মোটরের শেয়ারহোল্ডার আকিহিরো হোরিউচি বলেন, ‘টয়োটা ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পর্কে এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমে অনেক কিছু প্রকাশিত হয়েছে। আমার মনে হয়, অনেক শেয়ারহোল্ডার মনে করেছিলেন, তাঁরা অনেক কিছু জানেন। টয়োটা মোটর জাপানের সেরা কোম্পানি, আর আমি মনে করি, এটি আরও বৃদ্ধি পাবে।’

টয়োটা ইন্ডাস্ট্রিজ আগে টয়োডা অটোমেটিক লুম ওয়ার্কস নামে যাত্রা শুরু করে। ১৯২৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় তাঁত তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই প্রতিষ্ঠানে একটি অটোমোটিভ বিভাগ স্থাপন করা হয়, যা পরে টয়োটা মোটর নামে পরিচিতি লাভ করে। টয়োটা মোটর একটি জটিল চুক্তির মাধ্যমে ফর্কলিফট–নির্মাতা টয়োটা ইন্ডাস্ট্রিজকে অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করছে। চেয়ারম্যান টয়োডা তাঁর নিজস্ব অর্থের ১০০ কোটি ইয়েন সেখানে বিনিয়োগ করবেন বলে জানা গেছে।

জাপানের সবচেয়ে শক্তিশালী করপোরেট গ্রুপের পুনর্গঠনের জন্য এমন অধিগ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিষ্ঠানের অন্তর্নিহিত মূল্য অবমূল্যায়িত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। গ্রুপের ওপর প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী হচ্ছে বলে তাঁরা মনে করছেন। টয়োটা মোটরের ভাষ্যে, নতুন এই অধিগ্রহণ টয়োটা ইন্ডাস্ট্রিজকে স্বল্পমেয়াদি মুনাফার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে সুযোগ দেবে। পুরো কোম্পানির মধ্যে গতিশীলতা বাড়বে।

কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আকিও টয়োডার অবস্থান বেশ নড়বড়ে দেখা যাচ্ছে। চেয়ারম্যানের ওপর সাম্প্রতিক বছরে শেয়ারহোল্ডারদের সমর্থন হ্রাস দেখা যায়। আকিও টয়োডা সমর্থন হ্রাসের কারণে তাঁর অবস্থান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন।

সূত্র: রয়টার্স

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইন ড স ট র জ রহ ল ড র

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ