টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ, রবিবার খুলছে সরকারি অফিস
Published: 14th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে রবিবার (১৫ জুন) খুলছে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
গত ৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। ঈদের ছুটি উপলক্ষে গত ৪ জুন ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস। দেশের সব গণমাধ্যমেও শেষ কর্মদিবস ছিল ওই দিন। ৫ জুন থেকে শুরু হয় সংবাদ কর্মীদের ৫ দিন আর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১০ দিনের ছুটি।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব গণমাধ্যমের ঈদের ছুটি শেষ হয় ৯ জুন। আর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি শেষ ১৪ জুন।
এর আগে ৬ মে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে সরকারি অফিস ১১ ও ১২ জুন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার অফিস চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাহী আদেশে দুদিন ছুটির ফলে সবমিলিয়ে টানা ১০ দিনের ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১১ ও ১২ জুন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে গত ৭ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। সে অনুযায়ী দুই শনিবার অফিস খোলা ছিল।
এদিকে, রাজধানীতে শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে দেখা গেছে মানুষের স্রোত। গ্রাম থেকে ফিরছে মানুষ। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে দূর পাল্লার বাস এসে থামতেই স্রোতের মতো নামছে মানুষ। রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান বাস টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেলওয়ে টার্মিনাল এলাকায় এমনই চিত্র দেখা গেছে।
তিশা পরিবহনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে গুলিস্থানে পরিবার পরিজন নিয়ে নামেন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, “গ্রাম থেকে আসতে কোনো সমস্যা হয়নি।”
তিনি বলেন, “রবিবার অফিস খোলা থাকায় আজ বেশির ভাগ মানুষ ঢাকায় আসতেছেন। তাই যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে গুলিস্তান নেমে দেখলাম রাস্তা ফাঁকা। তাতে ভালো লেগেছে।”
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে শুধু সড়ক পথেই নয় ট্রেন, লঞ্চেও আসছেন যাত্রীরা। কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় শ্রীমঙ্গল থেকে ফেরা কমল নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “ঈদের সময়টুকু খুব আনন্দে কেটেছে। কিন্তু অফিস তো আর বসে থাকবে না। কাল অফিস খোলা, তাই ফিরতে হলো। আর পরিবারসহ ট্রেনের জার্নিই ভালো। তাই পরিবার নিয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরলাম। ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় ছিল।”
নোয়াখালী থেকে এসে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে নামেন একজন যাত্রী আজমির হোসেন। তিনি বলেন,“আগামীকাল অফিস খোলা। বাসের ভোগান্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না। কোনো যাত্রী যেখানেই নেমেছে তাদের কাছ থেকে ঢাকার ভাড়া নিয়েছে। আর পথে যাত্রী নামানোর সময়তো সুযোগ বুঝে কিছু যাত্রী উঠাতে গিয়ে থেমে থেমে আসতে হয়েছে। তাই সময় লেগেছে বেশি।”
ঢাকা/এনএফ/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ দ ন র ছ ট অফ স খ ল অন য য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওজোনস্তর ক্ষয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে’
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে মানবস্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”
বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের মতো কার্যকর আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে পৃথিবী আজ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আন্তর্জাতিক আইনও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।”
উন্নত দেশগুলো অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করায় ওজোনস্তর রক্ষায় বৈশ্বিক সাফল্য এসেছে মন্তব্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও একইভাবে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা চাই, সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপে রূপান্তরিত করা হোক। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণে পরিবর্তন আনলেই টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন মানিক।
এতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা