ফুটপাত দখল করে ঘেরের বাঁধ আ.লীগ ও জামায়াত নেতার
Published: 14th, June 2025 GMT
যশোরের মনিরামপুরে ব্যস্ত একটি পাকা সড়কের পাশের ফুটপাত দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নেহালপুর-আলীপুর-পোড়াডাঙ্গা সড়কের আলীপুরে এই কাজ করেছেন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী দুই রাজনীতিবিদ। এদের একজন আওয়ামী লীগের, অন্যজন জামায়াতে ইসলামীর নেতা। তারা মাছের ঘেরের বাঁধ তৈরি করেছেন সড়কের ফুটপাতে। যদিও এলাকাবাসীর তোপের মুখে কিছু অংশ থেকে সম্প্রতি মাটি সরিয়ে নেন তারা।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, মাছের ঘেরটির অংশীদারদের একজন কামরুজ্জামান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য। তাঁর অন্য অংশীদার হলেন– ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী টিম সদস্য খিদির হাসান।
নেহালপুর বাজারের উত্তরপাশ দিয়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ পিচ ঢালাই করা সড়কটি আলিপুর হয়ে কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পোড়াডাঙ্গায় গিয়ে মিশেছে। নেহালপুর থেকে সড়কের দু’পাশে পাঁচ-সাত ফুট জায়গা রাখা হয়েছে পথচারীদের চলাফেরা ও যানবাহন ক্রসিংয়ের জন্য। শনিবার সকালে আলীপুর এলাকার পশ্চিমপাশে দেখা গেছে, সড়কটির প্রায় আধা কিলোমিটার ফুটপাত দখল করে উঁচু বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। পাশেই প্রায় শত বিঘা জমি ইজারা নিয়ে গড়ে তোলা মাছের ঘের। এটির অংশীদার কামরুজ্জামান ও খিদির হাসান।
যেখানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে পাশেই গাবরডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্দির ও আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফুটপাত দখল করায় শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সরু সড়কে উল্টো দিক থেকে আসা যানবাহন ক্রসিং করতেও ঝুঁকি বাড়ছে।
আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী ঘোষের ভাষ্য, ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাতটি দখলের কারণে জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা তো হচ্ছে। জনস্বার্থে যে কোনো মূল্যে এ বাঁধ অপসারণ করা উচিত বলে মনে করেন কুলটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুল ইসলাম।
ঘেরমালিক আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামানের ভাষ্য, ‘জামায়াত নেতা খিদির হাসানসহ বেশ কয়েকজন মিলে ঘের করেছি। কিন্তু সড়কের পাশে পরিত্যক্ত জমির সামান্য অংশে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।’ জামায়াত নেতা খিদির হাসানের দাবি, এলাকাবাসীর অনুরোধে বাঁধটি কিছু দূরে সরিয়ে নিয়েছেন।
সড়কের পাশে সাত ফুট চওড়া হাঁটার পথ ছিল। এর মধ্যে দখল করা হয়েছে অন্তত পাঁচ ফুট। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সদুত্তর দেননি দুই নেতার কেউই। আর কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, সড়কের পাশে কমপক্ষে পাঁচ-সাত ফুট জায়গা থাকার কথা। এখানে রাখা হয়েছে খুবই সামান্য। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তবে সড়কের পাশের ফুটপাত এভাবে
দখলের বিষয় জানা নেই মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুমের। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দখল সড়ক র প শ র ফ টপ ত আল প র
এছাড়াও পড়ুন:
চুলে গুঁজে দিলেন ৭১১ গলফ ‘টি’
যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা আনিয়া বানাখ, একজন গলফ খেলোয়াড়। তিনি একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। নিজ দেশের আরেকজন গলফ খেলোয়াড়কে দেখে তিনি বুঝে যান, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে তাঁকে ঠিক কী করতে হবে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ।
২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার কার্লসব্যাড শহরে আনিয়া বসে যান তাঁর বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন পূরণে। সেদিন নিজের মাথা ও চুলের বেণিতে তিনি একে একে গুঁজে দেন ৭১১টি গলফ ‘টি’। এই গলফ ‘টি’ হলো গলফ বল রাখার ছোট স্ট্যান্ড বা খুঁটি।
আনিয়া বানাখের বয়স ৪৫ বছর। তাঁর বন্ধুরা ৪৭ মিনিট ধরে কাঠের গলফ টিগুলো আনিয়ার চুলে গুঁজে দেন। এত দিনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে আনিয়া বলেন, ‘আমি সব সময় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইয়ে জায়গা পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এটা একেবারেই আমার নিজস্ব স্বপ্ন ছিল। আমি গলফ খেলা ঘিরে কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, এটা দারুণ একটা আইডিয়া হবে।’
আনিয়ার এই রেকর্ড গড়ার অনুপ্রেরণা ছিলেন জোয়েল স্ট্রাসার। একাধিক বস্তু দাড়িতে গুঁজে রাখার বেশ কয়েকটি রেকর্ডের মালিক তিনি। আনিয়া বলেন, ‘জোয়েল (স্ট্রাসার) নিঃসন্দেহে দাড়ি-সংক্রান্ত রেকর্ডে সর্বকালের সেরা একজন। আমি তাঁর ওই যাত্রা অনুসরণ করেছি। আর সত্যি বলতে, তাঁর অভিনব, সৃজনশীল আর মজার স্বভাব আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।’
‘তাঁর সৃজনশীলতাই আমাকে উজ্জীবিত করেছিল। তাই ভাবলাম, আমিও কিছু পাগলামি করি। আমি তো হতে পারি গলফে জোয়েলের নারী রূপ।’
চুল নিয়ে এমন মজার কিছু করতে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য এই নারী জোয়েলকে ধন্যবাদও দিয়েছেন।
অন্যদের অনুপ্রেরণা দিতে গিয়ে আনিয়া বলেন, ‘আপনি যদি কোনো স্বপ্ন দেখে থাকেন, তাহলে সেটা পূরণ করে ফেলুন—স্বপ্ন পূরণে বেরিয়ে পড়ুন, ভয় পাবেন না। চুলে গলফ টি গোঁজা হোক বা অন্য কিছু—নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো একদিন আপনার নাম উঠবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।’