ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?
Published: 15th, June 2025 GMT
ইসরায়েলের হামলার জেরে, সেই সঙ্গে ইসরায়েলের সহায়তায় অন্যরা এগিয়ে এলে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে ইরান। যদি এটি তারা করেই ফেলে, তাহলে তা বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাবে, বাড়বে দাম; এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এড হির্স আলজাজিরা বলেছেন, ইরান যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয়, তাহলে তা বৈশ্বিক তেলের দামে বিশাল প্রভাব ফেলবে।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরিনা জানিয়েছে, ইরানের পার্লামেন্টের নিরাপত্তা কমিশনের সদস্য এসমাইল কোসারি বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার জবাবে হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়টি ইরান ‘গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে’।
আরো পড়ুন:
রাতভর ইরানের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৭, আহত ২০০
ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
এ বিষয়ে আলজাজিরাকে এড হির্স বলেন, “হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবাহিত হয় অর্থাৎ বৈশ্বিক তেলের বাজারের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়ে যায়।”
তিনি আরো বলেন, “সৌদি আরব বা কুয়েতের জন্য এই অঞ্চল থেকে তেল রপ্তানির তেমন কোনো সহজ বিকল্প পথ নেই।”
হির্স ব্যাখ্যা করে বলেন, “যদি এই প্রবাহ অর্ধেকে নেমে আসে, তাহলে বিশ্ববাজারে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ১২০ ডলারের ওপরে উঠে যেতে পারে। আর এটি এমন একটি প্রভাব হবে, যা খুব দ্রুতই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।”
তিনি আরো বলেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধের ঘটনা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি অজুহাত দিতে পারে ইরানে হামলার জন্য; যদিও ট্রাম্প ইরানের প্রতি কঠোর অবস্থান বজায় রাখলেও ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাত শেষ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
হির্স বলেন, “যদি ইরান তেল সরবরাহ বন্ধ করে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে সরাসরি আঘাত হানে, তাহলে সেটিই হয়তো যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিকভাবে জড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কারণ বানিয়ে তুলবে।”
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//