নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 15th, June 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ দেবে নির্বাচন কমিশন। তারা যে সময়ে নির্বাচনের ডেট ঠিক করবে, আমার মনে হয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই সময়ের প্রস্তুতি আছে। আমাদের পুলিশও প্রস্তুত আছে।’
এখনও পুলিশ সচল হয়নি- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ কথা কে বলেছে! আপনারা যদি আগের ১৫ বছরের মতো ভাবেন, গেলেই পুলিশ পিটুনি দেবে, আমরা তো সেই পুলিশ চাচ্ছি না। আমরা মানবিক পুলিশ চাচ্ছি। যারা সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করবে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এখনের পুলিশ হচ্ছে মানবিক পুলিশ। তারা এখন ভালো ব্যবহার করে দেখেই সাধারণ জনগণ ভাবছে পুলিশ সচল হয়নি। পুলিশ কিন্তু আগের থেকে আরও বেশি একটিভ।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সবাই একসঙ্গে হয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবার সন্তোষজনক ছিল। এটা আপনারাও লিখেছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম চ ধ র র প রস ত ত স বর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি শেষে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে কাল
ঈদুল আজহা উপলক্ষে একটানা ১০ দিন বন্ধের পর আগামীকাল রোববার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘ ছুটির পর আবারও স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে যাচ্ছে আর্থিক খাত। বন্ধের এই সময়ে অনলাইন ও এটিএম বুথের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুযোগ থাকলেও শেয়ারবাজারে কোনো লেনদেন হয়নি।
আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে এক টানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যেও একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ, এ সময়ে অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি। তবে অনলাইন বা ইন্টারনেটনির্ভর লেনদেন চালু ছিল।
এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারির ছুটির পর শেয়ারবাজারে টানা ১০ দিন লেনদেন বন্ধ ছিল। এতে শেয়ারবাজারে কোনো কার্যক্রম চলেনি। তবে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব বেশি আক্ষেপ ছিল না। কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে দরপতন হচ্ছে। তাতে প্রায় প্রতিদিনই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন বন্ধ থাকায় সেই ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া ১০ দিন সরকারি ছুটি থাকায় বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে খুব বেশি ক্ষোভ দেখা যায়নি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। এ কারণে বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও খুব বেশি খালাস হয়নি। তবে বন্ধের মধ্যে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। তবে অন্য সব অফিস আদালত ছুটির আমেজে থাকায় বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্য খুব বেশি খালাস করেনি। এ কারণে বন্দরে আমদানি পণ্যের কনটেইনারের সংখ্যাও বেড়ে যায়।
এদিকে ছুটি শেষে আগামীকাল ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চালু হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকের লেনদেন। আর শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা লেনদেন চলবে।