চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে ১৪টি ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মৃধা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলা শ্রমিক দলের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এতে আবদুল মালেককে সভাপতি ও নাছির উদ্দিন মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

উপজেলা শ্রমিক দলের নতুন কমিটি ঘোষণার দুই দিন পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গতকাল রোববার রাতে হঠাৎ করে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির এক নেতা অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো সভা না করে এবং সাংগঠনিক নিয়ম না মেনে তাঁর ইউনিয়নসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশ। এর প্রভাব পড়বে সংগঠনের ওপর।

তবে উপজেলা শ্রমিক দলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মৃধা ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করতেই ১৪টি ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নিষ্ক্রিয়তার কারণে এসব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। সেখানে অল্প সময়েই নতুন কমিটি করা হবে। সাংগঠনিক নিয়ম মেনে এবং শ্রমিক দলের জেলার নেতাদের জানিয়েই ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ল প ত কর দল র স গঠন ক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেড়েছে

ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার মাছবাজারে গতকাল বুধবার থেকে ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম গড়ে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে।

দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের পাতে জুটছে না ইলিশ। এ নিয়ে হতাশ তাঁরা। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কম। এতে হতাশ বিক্রেতারাও।

গতকাল ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, মুন্সিরহাট ও বরদিয়া আড়ৎ এবং মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ, সুজাতপুর ও ছেংগারচর মাছবাজারে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজারে দেখা যায়, সেখানে মোটামুটি হারে ইলিশের আমদানি হয়েছে। ইলিশ সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা, তবে বেচাকেনা কম। দু-একজন ক্রেতা দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ ইলিশের কাছে এসে উঁকিঝুঁকি মেরেই সারা। ইলিশের দাম শুনে হতাশ মনে ফিরছেন অনেকেই। সচ্ছল কিছু ক্রেতা কিছু ইলিশ কিনলেও নিম্ন আয়ের অধিকাংশ ক্রেতাই কিনছেন না, শুধু দেখছেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক অশোক কুমার রায়। মাছ কিনতে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ইলিশ কিনতে বাজারে আসছি। দেখি, দাম আগের চেয়ে বেশি। নিম্ন আয়ের ক্রেতার পক্ষে এত দামে ইলিশ কিনা সম্ভব নয়। কী করব, ইলিশের চেহারা দেখেই চইলা আসি।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর মাছবাজারের ইলিশ বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশের দাম কিছুটা কমেছিল। ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর জানাজানির পর ইলিশের দাম গতকাল থেকে বেড়েছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানি হওয়ায় খবরে পাইকারি বিক্রেতারা বাজার থেকে বেশি করে ইলিশ কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এতে বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দেয়। গড়ে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। অধিকাংশ ক্রেতাই ইলিশ না কিনেই চলে যাচ্ছেন। বেচাবিক্রি কম। এতে তিনিসহ অন্যান্য বিক্রেতারা হতাশ।

বিক্রেতারা বলেন, কয়েক দিন আগে এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজিতে দর ছিল ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। গতকাল থেকে সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার টাকা। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হতো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির সঙ্গে বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই। ভরা মৌসুমে মেঘনা-পদ্মায় এখন মোটামুটি হারে ইলিশ ধরা পড়ছে। এখন দাম কমার কথা, বাড়ার কথা নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি ও মতলব দক্ষিণের ইউএনও আমজাদ হোসেন বলেন, ইলিশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। হঠাৎ ইলিশের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেড়েছে