মতলব উত্তরে ১৪টি ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত
Published: 16th, June 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে ১৪টি ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মৃধা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলা শ্রমিক দলের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এতে আবদুল মালেককে সভাপতি ও নাছির উদ্দিন মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
উপজেলা শ্রমিক দলের নতুন কমিটি ঘোষণার দুই দিন পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গতকাল রোববার রাতে হঠাৎ করে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির এক নেতা অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো সভা না করে এবং সাংগঠনিক নিয়ম না মেনে তাঁর ইউনিয়নসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশ। এর প্রভাব পড়বে সংগঠনের ওপর।
তবে উপজেলা শ্রমিক দলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মৃধা ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করতেই ১৪টি ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নিষ্ক্রিয়তার কারণে এসব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। সেখানে অল্প সময়েই নতুন কমিটি করা হবে। সাংগঠনিক নিয়ম মেনে এবং শ্রমিক দলের জেলার নেতাদের জানিয়েই ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ল প ত কর দল র স গঠন ক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা মারা গেছেন ৭ দিন আগে, আজ বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলেরও
মাত্র সাত দিন আগে বাবা মারা গেছেন। আজ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ছেলে। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলচালক মো. মুরাদ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা সদ্যপ্রয়াত মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি ঢাকার উচ্চ আদালতে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবার, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ছুটিতে মুরাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে আসেন। মুরাদ তখন ঢাকায় ছিলেন। ছুটি শেষে আজ সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের আনতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে বরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ‘জৈনপুর এক্সপ্রেস’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মুরাদ বাসের নিচে চাপা পড়েন। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুরাদের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর (মুরাদ) বাবা মারা যান। সপ্তাহ না যেতেই আজ দুর্ঘটনায় মারা গেল মুরাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের দুজন সদস্যের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী-সন্তানদের আর ঢাকায় নেওয়া হলো না তাঁর। এর আগেই সব শেষ।’
মুরাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।