বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হয়ে বাদল (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বাদল বরগুনা সদরের হেউলিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

সোমবার (১৬ জুন) রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।

এর আগে সোমবার রাতে বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়নাল নামে এক আনসার সদস্য। জয়নাল বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত্যু চান মিয়ার ছেলে।

এ নিয়ে ডেঙ্গুতে জেলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১৭। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এ নিয়ে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯০৩ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২১৪ জন।

বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.

তাজকিয়া সিদ্দিকা রাইজিংবিডিকে বলেন, “কৃষক বাদলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছিলাম। তার পরিবার অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে রাজি না হয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যান। এর কিছু সময় পর তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আনসার সদস্য জয়নালকে বরিশাল রেফার্ড করলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জেলায় ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে ডেঙ্গুতে।”

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফাত্তাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, “দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন ডেঙ্গু নিধনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো আক্রান্ত ও প্রাণহানি দুটিই বাড়তে পারে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে’, ব্যাখ্যা দিলেন নেতা

‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়ার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 
 
আজ মঙ্গলবার এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। কৌশলে মূল বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। স্থানীয় ইউএনও-ওসি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো দাবি-দাওয়া ও অভিযোগ শোনেন না। তারা শোনেন জামায়াতের কথা। এবং বিএনপির পরিবর্তে জামায়াতের ইশারায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তারা।

ইদ্রিস মিয়া আরও বলেন, ‘ওই দিন আমি নেতাকর্মীদের বলেছিলাম, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ রাখা যাবে না, দলের স্বার্থে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্থানীয় প্রশাসন অবশ্যই আমাদের অভিযোগগুলো গুরুত্ব দেবে। মূলত আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী ও কুচক্রী মহল মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। অপপ্রচার ও গুজব রটানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইদ্রিচ মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি লেখা রয়েছে ব্যানারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া। 

জানতে চাইলে ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ইউএনও-ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। তাঁকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো. ইদ্রিস মিয়াকে। পরে গত ৬ মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ