আষাঢ়ের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের কিছু কিছু এলাকায় পানি জমেছে। বুধবার ভোর রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত টানা মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে। এতে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে যায়। সকালে কর্মস্থলগামী লোকজন ভোগান্তিতে পড়েন। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৬৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। 

এমন ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর আবাসিক এলাকায় পানি জমেছে বলে জানা গেছে। এসব এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। প্রায় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত পানি জমে ছিল।

সকালে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম নগরের আমতল কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরের শুলকবহর ও মুরাদপুরসহ অন্তত তিন জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখেছেন। 

সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, সকালে ভারী বর্ষণের সঙ্গে উচ্চ জোয়ার হওয়ায় কয়েকটি এলাকায় পানি জমেছিল। তবে তা অল্প সময়ের মধ্যে নেমে গেছে।

প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এরমধ্যে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বড় প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক এল ক য় প ন ম নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ