আরিফিন শুভ অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি চলছে দেশের প্রেক্ষাগৃহে। ছবিটি নিয়ে আলোচনা যেমন আছে, কিছুটা সমালোচনাও চলছে। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষের পথে আরিফিন শুভ জানালেন, ‘নীলচক্র’ ছবিতে কেন তিনি কাজ করেছেন এবং শুটিংয়ের সময়ে কোন কোন ধরনের বাজে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে।

দেড় যুগ ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছেন আরিফিন শুভ। বরাবরই ভিন্ন ভিন্ন গল্পে নিজেকে আনার চেষ্টায় থাকেন তিনি। এবারও যেন তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিজের ফেসবুক পেজে শুভ লিখেছেন, ‘আসলে সিনেমা তো অনেক ধরনেরই হয়। আমি বরাবরই চেয়েছি ভিন্ন ভিন্ন গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের ডাইমেনশন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে। যাতে নির্দিষ্ট কোন গণ্ডিতে বাঁধা পড়ে না যাই, সেই অভিপ্রায় থেকেই “নীলচক্র” সিনেমায় আমার যুক্ত হওয়া। সব ছবি যদি “মিশন এক্সট্রিম”, “ঢাকা অ্যাটাক”, “মুসাফির”, “ছুঁয়ে দিলে মন”–এর মতো হয়, তাহলে আপনারাই বিরক্ত হবেন। “নীলচক্র” আমার আগের করা সিনেমার চেয়ে অনেকটা আলাদা ধাঁচের।’

নীলচক্র.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন লচক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি সামরিক নীতির প্রতিফলন ইরানযুদ্ধ

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান। প্রায় দুই দশক ধরে দেশটির সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে চলেছে তেল আবিব। ইসরায়েলি চোখ রাঙানির মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস সরকার গঠন করে। দক্ষিণ লেবাননে ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

দুই সংগঠনের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলতে থাকে। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পর থেকে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি তাদের হাতে চলে আসে। একের পর এক হামলা করে হামাস ও হিজবুল্লাহকে দুর্বল করে ফেলা হয়। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি সামরিক নীতি (মিলিটারি ডকট্রিন) প্রতিষ্ঠা পায়। তা হলো, যুদ্ধে ধ্বংসাত্মক পন্থা অবলম্বন করার নীতি। 

গত সোমবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, ‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি। এর ফলে ইরানের ভেতরেই সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আসতে পারে।’ তবে আপাতত দ্বিতীয় দাবিটি অপ্রমাণিত। কারণ, ইসরায়েলের হামলায় ইরান দুর্বল হলেও পারমাণবিক কর্মসূচিতে দেশটি পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনাও পূরণ হওয়ার নয়। তবে ধ্বংসাত্মক পন্থায় নেতানিয়াহু হামাস ও হিজবুল্লাহর ক্ষমতা খর্ব করে দেখিয়েছেন। সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত আসাদ সরকারের পতনেও একই কৌশল কাজে দিয়েছে। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আরও শক্তিশালী হয়েছে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। 

ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল আমোস ইয়াদলিন মনে করেন, ‘হামাসের ওই হামলার আগের ২০ বছর বাইরের হুমকিকে গুরুত্ব দিইনি আমরা। এতে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি। হামাসের ওই হামলা আমাদের মানসিকতাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। অতীতে যে ঝুঁকি আমরা নিতে ভয় করতাম, এখন তা অনায়াসে করছি। কারও আক্রমণের জন্য ইসরায়েল আর অপেক্ষা করবে না। 

ইসরায়েল পলিসি ফোরামের ফেলো নিমরোদ নোভিক বলেন, গাজার মতো ইরানেও খেলা দ্রুত শেষ করতে হবে। সময়ই বলে দেবে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ