ক্লাব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সূচনা চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটির
Published: 19th, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করল ম্যানচেস্টার সিটি। আর শুরুটাও করল ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতোই। নতুন সংস্করণে আয়োজিত ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মরক্কোর শক্তিশালী ক্লাব উইদাদ কাসাব্লাংকার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা।
তবে জয়ের আনন্দের মাঝেই অস্বস্তির ছায়া ফেলেছে তরুণ ডিফেন্ডার রিকো লুইসের লাল কার্ড, যা পরবর্তী ম্যাচের জন্য সিটিকে কিছুটা চাপে ফেলবে।
ফিলাডেলফিয়ায় ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে সিটি শিবিরে আনন্দের ঝড় তোলেন ফিল ফোডেন। সতীর্থ জেরেমি ডোকুর পাসে সাভিনিওর নেওয়া শট প্রথমে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন। তবে ফিরতি বলে ঠিকই বল জালে পাঠিয়ে দেন ফোডেন।
আরো পড়ুন:
ম্যানসিটির নতুন অধিনায়কের নাম জানালেন গার্দিওলা
চোখের জলে, উষ্ণ অভ্যর্থনায় ম্যানসিটি ছাড়লেন ডি ব্রুইন
ম্যাচের ৪২ মিনিটে আবারও আলো ছড়ান ফোডেন। তার নেওয়া কর্নার থেকে ডিফেন্স বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগে কাছ থেকে বল জালে ঠেলে দেন ডোকু। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলের লিড নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পেপ গার্দিওলার দল।
ম্যাচের প্রায় শেষ সময় ৮৮ মিনিটে ঘটে বিপত্তি। উইদাদের ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল ওবেংকে মুখে আঘাত করার অভিযোগে রিকো লুইস সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে পরবর্তী ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে লুইসকে পাবে না সিটি।
এই নিষেধাজ্ঞা সিটির রক্ষণভাগে সামান্য চাপ তৈরি করতে পারে। যদিও স্কোয়াডের গভীরতা বিষয়টি সামলাতে পারার আত্মবিশ্বাস দেয়।
এই জয়ে গ্রুপ ‘জি’ থেকে প্রথম ম্যাচেই তিন পয়েন্ট কুড়িয়ে নিয়েছে সিটি। তাদের পরবর্তী ম্যাচ (সোমবার) ২৩ জুন সকাল ৭টায়। যেখানে প্রতিপক্ষ আল আইন। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ম্যানসিটি মাঠে নামবে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের বিপক্ষে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অভ্যন্তরীণ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।
দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ কার্যকর থাকলেও জাবি তা অনুসরণ না করে নিজস্ব নীতিমালায় বেতন-নিয়োগ পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা বৈষম্যমূলক দাবি করে সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল এবং অভ্যন্তরীণ তিনটিসহ মোট ১৩টি মসজিদ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাতটি হল মসজিদে একজন মুয়াজ্জিন নিয়োগ দিয়ে তাকে ইমামতি, মুয়াজ্জিন, জুমার নামাজ পড়ানো ও মসজিদ পরিষ্কার করাসহ সব কাজ করানো হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
জাবিতে নির্মাণ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’
২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুযায়ী গেজেটে ইমামদের বেতন নবম গ্রেড থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ গ্রেড, পেশ ইমাম পদে ষষ্ঠ গ্রেড থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ গ্রেড এবং সিনিয়র পেশ ইমাম পদে পঞ্চম গ্রেড থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ষষ্ঠ গ্রেড কার্যকর আছে।
অন্যদিকে, মুয়াজ্জিনদের জন্য ১১তম গ্রেডের বেতন স্কেল নির্ধারিত রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬ গ্রেডে তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। আবার নতুন তিনটা হলে ১৮ গ্রেডে দেওয়া হচ্ছে বেতন, যা গেজেটের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসেও এমন বৈষম্য কখনোই প্রত্যাশিত ছিল না। সরকারি গেজেটের নির্দেশনা মেনে মুয়াজ্জিনদের বেতন স্কেল যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হলে ধর্মীয় কাজের প্রতি মানুষের আস্থা কমতে পারে এবং মুয়াজ্জিনদের কর্মপ্রেরণাও হ্রাস পাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররক হোসেন হল মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আবু সাইদ বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি। এ পর্যন্ত ছয়বার আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু প্রত্যেকবারই আমাদের নানা অজুহাত দেখিয়ে এ বিষয়টি বিলম্বিত করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ঢাবি, বুয়েট, চবি, শাবিপ্রবি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ২০০৬ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরই এটি নিয়ে উদাসীনতা প্রদর্শন করে আসছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ড. মাহমুদুল ইসলাম ইউসুফ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্থগিত স্থবিরতা বিদ্যমান ছিল। এক ইমামের পদে একজন সহকারী ইমামকে নিয়োগ দিয়ে তাকে দিয়েই ইমামতি, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ পরিষ্কার করাসহ সব কাজ করানো হচ্ছিল। আমরা চাচ্ছি, আমাদের জন্য ২০০৬ সালের গেজেট অনুসারে নিয়োগ এবং বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেওয়া হলে আমাদের সঙ্গে হওয়া বৈষম্য দূর হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমরা সচেতন। বিষয়টি আমরা পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করব এবং সরকারি গেজেট অনুযায়ী বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনার চেষ্টা করব। তবে এবারের সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডায় এটি অন্তর্ভুক্ত হয়নি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদগুলোতে ইমাম নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইমাম নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে জনবল নিয়োগের জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী