ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আবাসন সমস্যা নিরসনে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পেয়ে ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজটির কে-৮০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহবুব মোর্শেদ সিয়াম বলেন, ‘গতকাল আমরা সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁর কাছে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি। দাবিগুলোর সঙ্গে তিনিও একমত পোষণ করেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, সারা দেশে মেডিকেল কলেজগুলোতে ১৯টি হল তৈরির একটি প্রকল্প তাঁদের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে দুটি হল ঢাকা মেডিকেলে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর বরাদ্দ কার্যক্রমের জন্য আগামী মাসে একনেক সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব উত্থাপন করবে এবং আমাদের এই দাবিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থী মাহবুব আরও বলেন, ‘এ জন্য আমরা শহীদ ডা.

ফজলে রাব্বী হলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চতুর্থ তলা ছেড়ে দিয়ে নিচের তিনটি তলায় থাকতে শুরু করেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে কে-৭৯ ব্যাচের আলফাজ হোসাইন সিহাব বলেন, কে-৭৮ থেকে কে-৮১ ব্যাচের আবাসনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ পাওয়া গেলেও নবাগত কে-৮২ ব্যাচের আবাসনের কোনো রোডম্যাপ কলেজ কর্তৃপক্ষ দেয়নি। আজ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেছিল শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা জানাবে। তবে তারা যত দিন পর্যন্ত তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে না পারছে, তত দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবেন না।

বেশ কিছুদিন ধরে আবাসন সমস্যার সমাধানে পাঁচ দফা দাবি তুলে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের আন্দোলনের মুখে ২১ জুন কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল জরুরি সভা ডেকে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং ২২ জুন দুপুরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নোটিশ দেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সেই নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ