ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্তে অনড় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা
Published: 24th, June 2025 GMT
ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আবাসন সমস্যা নিরসনে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পেয়ে ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজটির কে-৮০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহবুব মোর্শেদ সিয়াম বলেন, ‘গতকাল আমরা সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁর কাছে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি। দাবিগুলোর সঙ্গে তিনিও একমত পোষণ করেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, সারা দেশে মেডিকেল কলেজগুলোতে ১৯টি হল তৈরির একটি প্রকল্প তাঁদের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে দুটি হল ঢাকা মেডিকেলে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর বরাদ্দ কার্যক্রমের জন্য আগামী মাসে একনেক সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব উত্থাপন করবে এবং আমাদের এই দাবিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
শিক্ষার্থী মাহবুব আরও বলেন, ‘এ জন্য আমরা শহীদ ডা.
সংবাদ সম্মেলনে কে-৭৯ ব্যাচের আলফাজ হোসাইন সিহাব বলেন, কে-৭৮ থেকে কে-৮১ ব্যাচের আবাসনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ পাওয়া গেলেও নবাগত কে-৮২ ব্যাচের আবাসনের কোনো রোডম্যাপ কলেজ কর্তৃপক্ষ দেয়নি। আজ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেছিল শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা জানাবে। তবে তারা যত দিন পর্যন্ত তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে না পারছে, তত দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবেন না।
বেশ কিছুদিন ধরে আবাসন সমস্যার সমাধানে পাঁচ দফা দাবি তুলে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের আন্দোলনের মুখে ২১ জুন কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল জরুরি সভা ডেকে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং ২২ জুন দুপুরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নোটিশ দেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সেই নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত: দুদক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দৃষ্টি গোচর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। সংস্থাটি বলছে, পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।এ বিষয়ে সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, একটি প্রতারক দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এর সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও দুদক প্রতারণা রোধে সবাইকে সতর্ক করে আসছে। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করে, যার ফলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, প্রতারণামূলক ফোন কল, বার্তা বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা চাওয়া হলে কিংবা কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।