পাকিস্তানের টেস্ট দলের হেড কোচ আজহার
Published: 30th, June 2025 GMT
পাকিস্তানের টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্য হেড কোচ হিসেবে আজহার মেহমুদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি আছে ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। চুক্তির ওই মেয়াদ পর্যন্ত তিনি টেস্ট দলের দায়িত্বে থাকবেন।
হেড কোচ হিসেবে চলতি বছরের শেষ দিকে প্রথমবার দায়িত্ব পালন করবেন আজহার। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বছরের শেষ দিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সিরিজ খেলবে শান মাসুদের দল।
আজহারকে কোচ নিয়োগের বিষয়ে পিসিবি এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘ক্রিকেট নিয়ে তার গভীর জানাবোঝা, কাউন্টি ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভজ্ঞতা তাকে এই পদের জন্য যোগ্য করে তুলেছে।’
পিসিবি মনে করছে, কোচ হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেটে আজহারের শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা তার কোচিং ক্যারিয়ারে নতুন পালক যোগ করেছে। পিসিবির বিশ্বাস, আজহারের অধীনে পাকিস্তান টেস্ট ফরম্যাটে শক্তিশালী হবে, শৃঙ্খল হবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলবে।’
আজহার মেহমুদ পাকিস্তানের হয়ে ২১টি টেস্ট এবং ১৪৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। পিসিবি’তে তিন ফরম্যাটের সহকারী কোচ হিসেবে প্রথম তিনি নিয়োগ পান। সাদা বলের হেড কোচ গ্যারি কারস্টেন দায়িত্ব ছাড়ার পরপরই জেসন গিলেসপিও টেস্ট দলের হেড কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এরপর পিসিবি আকিভ জাভেদকে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়। তার অধীনে ভালো করেনি পাকিস্তান। সম্প্রতি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসনকে সাদা বলের ক্রিকেটের হেড কোচ করেছে। এবার টেস্টে দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হলো আজহারকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল ট স ট দল র আজহ র
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘পকেট কমিটি’ গঠনের অভিযোগ
জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে অভিযোগ করেছেন বিগত কমিটির নেতারা। তারা কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতাদের দিয়ে পুনরায় কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের সকাল বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দ্বিতীয় তলায় ‘জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীর ব্যানারে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিগত কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবু, পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম মিজানুর রহমান মিলন, সহ-কোষাধ্যক্ষ মো. ফয়সাল বক্তব্য রাখেন। বিগত কমিটির বিভিন্ন পদের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মিটিংয়ের পর স্থিতিশীলতা এসেছে: শরিফ
‘মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম’
বক্তারা বলেন- গত ২৬ জুন নুরল মমিন আকন্দ কাউছারকে আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল করিম সুমনকে সদস্য সচিব করে কেন্দ্র থেকে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করে। সেই কমিটিতে ত্যাগীদের বাদ দেওয়া হয়।
তাদের অভিযোগ, কমিটির আহ্বায়ক কাউছার ৫ আগস্টের পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজন কুমার চন্দের নতুন হাই স্কুল মোড়ের অফিস দখল করেছেন। সদস্য সচিব সুমন স্টেশন এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার বাবা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। একজন সরকারি কর্মকর্তার জমি দখল ও সেই কর্মকর্তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কমিটি বাতিল ঘোষণা করে পুনরায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা করতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরল মমিন আকন্দ কাউছার মোবাইলে বলেন, ‘আমাদের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে, তখন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আমরা এই শহরের বাসিন্দা। এই শহরসহ সাংবাদিক সমাজের সবাই জানে আমরা কেমন। একটি সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগ করলেই মিথ্যা সত্য হয়ে যায় না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবহিত করব।”
জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল করিম সুমন মোবাইলে বলেন, “আমি ছাত্রদলের প্রার্থী ছিলাম। যেহেতু আমার ছাত্রত্ব নেই। আমি বিবাহিত, সন্তান রয়েছে, তাই সেখান থেকে আমি সরে আসি। এর আগে একটি ঘটনায় আমাকে শোকজ করা হয়েছিল, আমি এর জবাব দিয়েছিলাম। পরে আমাকে আর বহিষ্কার করা হয়নি।”
তিনি বলেন, “আমি স্টেশনের কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না। এই এলাকার যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই এর জবাব পাবেন। আমার বাবা আওয়ামী লীগ করতো। কিন্তু আমি বিএনপির আদর্শে আদর্শিত। আমার বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগেই। এই দুনিয়াতে আমার কেউ নেই। পরিবার আর রাজনীতি এক না। আমি অনেকগুলো রাজনৈতিক মামলার আসামি ছিলাম। দলের দুঃসময়ে আমার কি অবদান এটা আপনারা একটু খোঁজ নেবেন। কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলে ত্যাগীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।”
ঢাকা/শোভন/মাসুদ