কুড়িগ্রামে ভাসমান তেল ডিপো চালুর দাবিতে মানববন্ধন
Published: 30th, June 2025 GMT
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের যুমনা ও মেঘনা অয়েল কোম্পানীর দুটি ভাসমান তেল ডিপো চালু করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে রংপুর বিভাগ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ আলী, সংগঠনের উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম সাবু, রংপুর বিভাগ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ২০১৮ সাল থেকে চিলমারীর দুটি ভাসমান তেল ডিপোতে তেল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে জেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের কৃষকরা বিপাকে পড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হারিয়েছে অনেক শ্রমিক। আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২২ জুলাই থেকে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরো পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ: জবি ও কুবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
নোয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্র ‘হত্যার’ বিচার দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, চিলমারী ভাসমান তেল ডিপো নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, দায়ী কর্মকর্তাদের অপসারণ ও নতুন নিয়োগ দেয়া, বার্জগুলোকে নদীর পশ্চিম তীরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া, ডিপোতে তেল মজুদ ও পরিবহণ কার্যক্রম উন্নত ট্যাংকলরির মাধ্যমে চালু করা এবং অস্থায়ী ডিপোকে স্থল ও জলপথের সমন্বয়ে স্থায়ী ডিপোতে রূপান্তর করা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
ঢাকা/বাদশাহ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যক্তিগত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পাউবোর বেড়িবাঁধ।
গতকাল রোববার নদী ভাঙনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মুন্সিপাড়ার বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছেন। তারা পৈতৃক ভিটা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা গিয়াস মুন্সি বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে একরের পর একর কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। তিন গ্রামের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন চলছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়, ভাঙন স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বেড়িবাঁধের দূরত্ব মাত্র ৪০ মিটার। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে তিন গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আনোয়ার আলী বলেন, বসতভিটা বাদে অনেকেই সব হারিয়ে ফেলেছেন। তাই প্রশাসন ও পাউবোর কাছে জোর দাবি,
বিভিন্ন নিয়মনীতির বেড়াজালে না থেকে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন।
ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীও তাদের কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। সেটি পাউবো বরাবর পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা যাবে।