স্ত্রীর কাছে ‘ইয়াবা কেনার টাকা না পেয়ে’ বসতঘরে আগুন, স্বামীকে পুলিশে সোপর্দ
Published: 1st, July 2025 GMT
স্ত্রীর কাছে ইয়াবা কেনার টাকা না পেয়ে এক ব্যক্তি নিজ বসতঘরে আগুন দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। এতে মালামালসহ ঘরটি পুড়ে গেলেও দৌড়ে প্রাণে বেঁচেছেন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। পরে ওই ব্যক্তিকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বারোআনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুজন (৫০)।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় কয়েক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইয়াবা কেনার জন্য স্ত্রী পেয়ারা বেগমের কাছে টাকা চান সুজন। পরে সেই টাকা না পেয়ে স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুজন নিজ বসতঘরে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই সময় তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী ঘরেই ছিলেন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা দৌড়ে বাইরে চলে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই বসতঘরটির অধিকাংশ মালামাল পুড়ে গেছে। পরে উত্তেজিত জনতা সুজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পেয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত। ইয়াবা কেনার টাকা চেয়ে না পেয়ে তাঁকে ও মেয়েদের পুড়িয়ে মারার জন্য এ কাজ করেছেন সুজন। এ ঘটনার বিচার চান তিনি।
তবে এ ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হক। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিকে থানাহাজতে রাখা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মতলব দক্ষিণে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারীকে ‘ফ্যাসিস্টের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে এক নেতার পদত্যাগ
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয় গতকাল রোববার রাতে। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীকে ‘ফ্যাসিস্টের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেন যুগ্ম সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন। গতকাল রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার সমন্বয় কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়। ২০ সদস্যের ওই কমিটিতে ডি এম আলাউদ্দিনকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং ফরহাদ আহম্মেদ আলী, বদিউল আলম, বাবুল ফরাজি, হেলাল উদ্দিন ও নোমানুল ইসলাম খানকে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়।
কমিটি ঘোষণার পর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন তাঁর ‘এমএইচইউ হেলাল’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করার কথা জানান। এতে তিনি প্রধান সমন্বয়কারী ডি এম আলাউদ্দিনকে ‘জাতীয় পাটির নেতা ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতাদের সহযোগী’ বলে মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কোনো ফ্যাসিস্ট সহযোগীদের হাতে আমরা জুলাই বেচে দিতে পারি না’। বিষয়টি জানতে হেলাল উদ্দিনের মুঠোফোন নম্বরে আজ সোমবার সকালে একাধিকবার কল দিলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
নবগঠিত উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ডি এম আলাউদ্দিন বলেন, জাতীয় পাটি থেকে তিনি অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন। ফ্যাসিস্টের কোনো সহযোগীর সঙ্গেও তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর সঙ্গে ওই যুগ্ম সমন্বয়কারীর ভুল–বোঝাবুঝি কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। পরে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি।