নওগাঁর পোরশা উপজেলার রোদগ্রাম সীমান্তে গরু চরাতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহিম (৪০) নামের এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের ২২৬নং পিলার সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম একই এলাকার সৈয়দ মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের প্রতিবেশী মতিউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইব্রাহিম সীমান্ত এলাকায় গরু চরাতে যান। এসময় ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলেই ইব্রাহিম মারা যান বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, দুপুর পর্যন্ত ইব্রাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ সুবেদার মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, নিতপুর সীমান্তের ২২৬নং পিলারের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তবে বিএসএফ এখনো গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করছে।

এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। নিহতের পরিবারের আহাজারিতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনার পরপরই বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে। তবে বৈঠকের নির্ধারিত সময় এখনো জানানো হয়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ন ত হত য ব এসএফ ন হত ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী