অতিরিক্ত ফি আদায়, রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কিডনী ডায়ালাইসিস ইউনিটে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে রোগীরা বলছেন, এ ইউনিটে যে সেবা পাচ্ছেন, তাতে তারা সন্তুষ্ট। গত কয়েক মাস আগে একজন চিকিৎসক রোগীদের হয়রানি করেছেন বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন নোয়াখালী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল।

দুদক জানায়, ২০১৮ সালে কোনো প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়া এ ডায়ালাইসিস ইউনিটটি স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে এ ইউনিটে বিভিন্ন সময় রোগীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, বাইরে থেকে বেশি মূল্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে অসধাচরণ করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সব অভিযোগে ভিত্তিতে দুদক সমন্বিত নোয়াখালী কার্যালয়ের পক্ষ থেকে হাসপাতালের এ ইউনিটতে অভিযান চালানো হয়।

আরো পড়ুন:

এস আলম ও পিকে হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা

মামলার উপাদান থাকা সত্ত্বেও এফআরটি দিয়ে অভিযুক্তদের নিষ্পত্তি

তবে অভিযানকালে রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউনিটটি স্বল্প খরচে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে। গত ৪-৫ মাস আগে দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক ভর্তিকৃত রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে অসধাচরণ করতেন। হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও ওই চিকিৎসক রোগীর লোকজনকে বাইরের প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠাতেন। এতে করে রোগীরা হয়রানির শিকার হতেন। তবে ওই চিকিৎসক এখন বদলী হয়ে গেছেন।  

দুদক জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘‘অভিযানে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি।  এগুলো যাচাই বাছাই করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধান কার্যালয় থেকে সেগুলোর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’

ঢাকা/সুজন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ক ৎসক ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

সাখাওয়াত স্যার, আপনার কাছে জাতির যত ঋণ

৩০ নভেম্বর ক্যালেণ্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। কারণ এটি এমন একজন মহান শিক্ষকের জন্মদিন যিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষার ইতিহাসের একটি বড় জায়গা দখল করে আছেন।

তিনি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান। তাঁর হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় স্নাতক কোর্সের সূচনা হয়েছিল।

আসলে তিনি আমাদের কাছে শুধু একজন শিক্ষকই নন, তিনি ‘শান্তির জন্য সাংবাদিকতা’ চর্চার এক আলোকবর্তিকা।

তাঁর প্রজ্ঞা, সত্যান্বেষণ আর মানবিকতার দীপ্ত আলো তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের যোগাযোগ-সাংবাদিকতার পেশাগত জীবনে।

৩০ নভেম্বর ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করা আমাদের এই শিক্ষাগুরু একাধারে সত্যান্বেষী সাংবাদিক, সাহিত্যসাধক, সমাজ-সংগঠক, গবেষক এবং মানবিক ধারার সাংবাদিকতা শিখনচর্চার অগ্রপথিক।

তাঁর ভাষায়, ‘সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। যুদ্ধের সময় আমি শিখেছি—সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই সাংবাদিকতার মূল শক্তি।’

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংস্কার দেখতে চাই১১ আগস্ট ২০২৪

নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট সরকারি হাইস্কুল এবং ঢাকা কলেজ থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। অধ্যাপক খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান), এমএ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ছাত্রাবস্থাতেই সাখাওয়াত আলী খান সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতার মূল স্রোতে কাজ করেছেন। প্রতিবেদক থেকে শুরু করে সম্পাদনা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই তাঁর পেশাদারি দক্ষতা তাঁকে অনন্য এক সংবাদসৈনিকের মর্যাদার আসনে আসীন করে।

সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতাচর্চার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার সোনালি অধ্যায় থেকে পেশাগত জীবন-দর্শনের মর্ম সন্ধান করা যায়।

স্যারের ভাষায়, ‘দৈনিক বাংলায় কাজ করার সময় আমরা জানতাম, সত্য লিখতে গেলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। তবু লিখেছি, কারণ ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধতা ছিল।’

ছাত্রাবস্থাতেই সাখাওয়াত আলী খান সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতার মূল স্রোতে কাজ করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইমরান খানকে কি ভুট্টোর পরিণতি বরণ করতে হচ্ছে
  • তারেক রহমান না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন নয়: তৌহিদ হোসেন
  • কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো বুক অলিম্পিয়াড
  • কেমন ছিলেন সাহাবি যুগের নারীরা
  • ‘সালাতুল হাজাত’ নামাজে যে দোয়া পড়বেন
  • মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি, রোগী ভোগান্তি চরমে
  • সাখাওয়াত স্যার, আপনার কাছে জাতির যত ঋণ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাশ নিয়ে স্বজনদের থানায় অবস্থান
  • মামলা নেওয়ার দাবিতে লাশ নিয়ে থানায় স্বজনদের অবস্থান
  • ক্যানসার, সংসার, ব্যবসা—সাহসে রাঙানো সোহানীর জীবন