আইফোনের পর্দায় হঠাৎ করে কালো গোল দাগ দেখা যাচ্ছে, কারণ কী
Published: 3rd, July 2025 GMT
আইফোনের পর্দার ওপরের দিকে হঠাৎ করে কালো গোল দাগ দেখা যাওয়ার অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী। আকারে ছোট কালো দাগটি স্থায়ীভাবে দেখা যাওয়ায় অনেকেই দাগটিকে ‘ব্ল্যাক ডট অব ডেথ’ নামকরণ করেছেন।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এ একজন ব্যবহারকারী প্রথম এ সমস্যার কথা জানান। তিনি অভিযোগ করেন, আইওএস ১৮.
আইফোনের পর্দায় হঠাৎ করে কালো গোল দাগ দেখা যাওয়ার কারণ এখনো অজানা। তবে অনেকেরই ধারণা, এটি সম্ভবত আইফোনের হার্ডওয়্যারজনিত ত্রুটি। ওএলইডি পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পর্দার ওই স্থানের পিক্সেল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ধীরে ধীরে দাগটি বড় হতে পারে এবং একপর্যায়ে আইফোনের পুরো পর্দা বদলাতে হতে পারে।
পর্দায় কালো গোল দাগের কারণ না জানালেও আইফোন ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পর্দার সমস্যা সমাধানে আইফোন বন্ধ করার সময় ভলিউম বোতামের যেকোনো অংশ এবং পাশের বোতাম একসঙ্গে চেপে পাওয়ার বন্ধ করে পর্দা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর আইফোন থেকে ইউএসবি সি বা লাইটনিং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পর্দা পরখ করতে হবে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও যদি আইফোনের পর্দা সচল থাকে, তাহলে অন্য সকেট, তার বা চার্জার ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে কেস বা স্ক্রিন প্রটেক্টর খুলে আইফোনের পর্দা পরখ করতে হবে, কারণ সেগুলোর কারণেও পর্দার কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইফ ন র প পর দ র সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।