মুরাদনগরের সেই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘নেপথ্যের’ ব্যক্তি গ্রেপ্তার
Published: 3rd, July 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরের সেই নারীকে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনি ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফজর আলীর আপন ছোট ভাই।
র্যাব-১১ সিপিসি-২–এর কুমিল্লা কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আজ বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই শাহ পরান আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাবের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘শাহ পরান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে। বিস্তারিত তুলে ধরবেন র্যাব-১১–এর সিইও।’
পুলিশের সূত্র বলছে, ওই নারীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মুখেও শাহ পরানের নামটি উঠে আসে। তিনি ছিলেন ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে। তাঁর পাঠানো লোকজনই ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শাহ পরানকে র্যাব আটক করেছে বলে জেনেছি। তবে এখনো আমাদের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করেনি। আমাদের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করলে নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
আরও পড়ুনমুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা২৮ জুন ২০২৫আরও পড়ুনপ্রকৃত অর্থেই ওই নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন: পুলিশ২৯ জুন ২০২৫আরও পড়ুনপ্রধান আসামির দলীয় পরিচয় নিয়ে ঠেলাঠেলি, ‘নোংরা রাজনীতি’ বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৩০ জুন ২০২৫আরও পড়ুনলোকজনের ভিড়, সাক্ষাৎকারের ‘চাপ’—বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী০১ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র দনগর শ হ পর ন ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে গণপিটুনিতে মা, ছেলে ও ২ মেয়ে নিহত
কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে গণপিটুনিতে একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাঙ্গুরা বাজার থানার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনিতে নিহতরা হচ্ছেন- রোকসানা আক্তার রুবি, তার ছেলে রাসেল মিয়া, মেয়ে জোনাকি ও রুমা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। নিহতদের মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে স্থানীয়রা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রোকসানা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর, বাঙ্গরাসহ বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে। তাই লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছে।