কুমিল্লার মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রেমিককে দিয়ে ভাসুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহিদা আক্তারের নামে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিমের বসতঘরে মাটির নিচ থেকে নিহত মনিরের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনির মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত শাহিদা আক্তার (২২), তার প্রেমিক ইব্রাহিম (২০) ও তার মা আমেনাকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মনিরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান ইব্রাহিম। বিষয়টি জানতে পেরে ১৫ দিন আগে শাহিদাকে শাসন করেন ভাশুর মনির। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহিদা ও ইব্রাহিম। গত ১ জুলাই রাতে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ইব্রাহিম। পরে লাশ নিজের বসতঘরে নিয়ে মাটিচাপা দেন। এ ঘটনা দেখে ফেলেন ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম। এসময় মুখ বন্ধ রাখতে মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়দের চাপে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন আমেনা। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইব্রাহিমের বসতঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখা মনিরের লাশ শনাক্ত করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মনিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিদা, ইব্রাহিম ও তার মা আমেনাকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শাহিদা ও ইব্রাহিমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম, তার প্রেমিক ইব্রাহিম ও ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য মন র র হত য র এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় চার আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ কাণ্ডে নারীর নিপীড়নের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আমলী আদালত ১১ এর বিচারক মমিনুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে ওই চারজনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে মুরাদনগর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। কুমিল্লা আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।

এর আগে, গত ২৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এসময় গ্রেপ্তাররাসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে এবং ফজর আলী নামের ওই যুবককে মারধর করে। গত শনিবার এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পর্নোগ্রাফি আইনে ওই এলাকার চার যুবকে গ্রেপ্তার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমান পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরাদনগরের ঘটনার ‘পরিকল্পনাকারী’ শাহ পরান গ্রেপ্তার
  • কুমিল্লায় মা-দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার ২৪ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি 
  • মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘হোতা’ শাহ পরাণ গ্রেপ্তার
  • মুরাদনগরের নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘হোতা’ শাহ পরাণ
  • মুরাদনগরে মা ও ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে
  • মুরাদনগরে মা ও ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার সূত্রপাত যেভাবে
  • মুরাদনগরে পর্নোগ্রাফি মামলায় ৪ যুবক ৩ দিন রিমান্ডে
  • নারীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় রিমান্ডে চার আসামি
  • নারীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় চার আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর