‘আরিফিন শুভ ফিটনেস অনুপ্রেরণা, শাকিব খান জীবনের’
Published: 5th, July 2025 GMT
এক যুগ ধরে অভিনয় করছেন তৌসিফ মাহবুব। কিছুদিন আগেও প্রচুর নাটকে কাজ করতেন, এখন তা কমিয়ে এনেছেন। গেল ঈদেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এবার তিনি চলছেন ভিন্ন পরিকল্পনায়। মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে এ বছর সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। স্বপ্ন এখন বড় পর্দায়। তৌসিফের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার দুপুরে কথা বলেছেন মনজুর কাদের
ঈদের পর তিন সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে শুটিংয়ে ফিরলেন তৌসিফ। থ্রিলারধর্মী নাটক, বানিয়েছেন ভিকি জাহেদ। এর আগেও এই পরিচালকের সঙ্গে কাজ হয়েছে, বরাবরই ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা। এবার ঢাকা শহরের নানা প্রান্তে এই নাটকের শুটিং হয়েছে। আবার কখনো ছুটে যেতে হয় পদ্মার পাড়ে। গল্পের প্রয়োজনে এমন ছোটাছুটি। তৌসিফ বললেন, ‘ভিকি জাহেদের গল্প বলার ধরন আলাদা। এই কাজটাও তার স্টাইলেরই, তবে উপস্থাপনে বরাবরের মতো রয়েছে নতুনত্ব।’
আগে দুই দিনে নাটকের শুটিং শেষ করতেন তৌসিফ। বছরখানেক ধরে ৫-৬ দিনে একই দৈর্ঘ্যের কাজ করেন, কখনো তা ৮-১০ দিনও লেগে যায়। কারণ হিসেবে একটা সময় অনেক কাজ করেছেন। সেই কাজ তাঁকে পরিচিতি যেমন দিয়েছে, তেমনি কিছু আফসোসও রয়েছে। সেই ‘গ্লানি’ থেকে মুক্তি পেতে এই কৌশল, সংখ্যা কমিয়েছেন। গেল এক মাসে তৌসিফ অভিনীত নতুন নাটক প্রচারিত হয়েছে চারটি।
কম কাজের কারণ
২০১৩ সালে ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ নাটকটি রাতারাতি পরিচিতি এনে দেয় তৌসিফকে। নাটকটি দেখে সে রাতেই বন্ধুদের শুভেচ্ছায় ভরে যায় তাঁর ফোন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, ফেসবুকে যুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার অনুসারী। ওই নাটকের জন্য অনেক দিন প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এরপর প্রতি ঈদে ৮-১০টি নাটক প্রচারিত হতো তাঁর। কখনো সংখ্যাটা আরও বাড়ত। এখন নাটকের সংখ্যা কমিয়ে এনেছেন, বছরে ২-৩টির মধ্যে সীমিত রেখেছেন। কারণ, সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তুতি। তিনি বলেন, ‘সিনেমার কাজ অনেক সময় নিয়ে হয়। প্রি-প্রোডাকশন, চরিত্র প্রস্তুতি—সবকিছুতেই সময় লাগে। কম নাটক করার মধ্য দিয়ে আমিও একরকম সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদিও এতে আয় কমেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা থেকেই কষ্ট করে এগোচ্ছি।’
তৌসিফ মাহবুব.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন টক র
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল