সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। আজ সোমবার ঢাকা কাস্টমস হাউস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। 

উল্লেখ্য, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে এনবিআর। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থবছর শেষে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিসাব সমন্বয় করতে এক-দুই সপ্তাহ লেগে যায়। নতুন অর্থবছরে সবাই নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করছে। ফলে রাজস্ব আদায় আরেকটু বাড়বে। 

কাস্টমসের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে উল্লেখ করে আব্দুর রহমান খান বলেন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা সচল আছে। কর্মকর্তাদের আহ্বান জানানো হয়েছে তারা যেন আইন অনুযায়ী নিষ্ঠার সঙ্গে দ্রুত সব কাজ সম্পন্ন করে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল ও মংলাসহ অন্য কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। এসব স্থানে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। ব্যবসায়ীরা যাতে কোনোভাবে কোনো ধরনের বিড়ম্বনার শিকার না হন। সেই দিকে খেয়াল রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যেককে দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকারকে সবার ওপরে স্থান দিতে হবে। ব্যক্তিগত অথবা গোষ্ঠিগত স্বার্থ যদি রাষ্ট্র স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক হয় তা এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ চেয়ারম্যানসহ এনবিআরের কেউই অপরিহার্য নয়। বরং কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনসহ রাজস্ব আহরণের দপ্তরগুলো অপরিহার্য। এসব দপ্তরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখতে হবে। কারা কাজ করবে সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এগুলোর কার্যক্রম কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত যাতে না হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনব আর

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন