বিটিএস সদস্য ভি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবারও এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন। বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্ব পালন শেষে এখনো সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় না হলেও, ইনস্টাগ্রামে প্রভাব বিস্তারে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন মার্কিন দুই পপ তারকা সেলেনা গোমেজ ও বিলি আইলিশকে।
বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েন্সারদের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশকারী সংস্থা হাইপঅডিটরের তথ্যমতে, ভি এখন ইনস্টাগ্রামের ২০২৫ সালের সেরা মিউজিক ইনফ্লুয়েন্সার। এ তালিকায় তিনিই একমাত্র এশীয় শিল্পী, যিনি শীর্ষস্থান দখল করেছেন।

শীর্ষ পাঁচে বিটিএসের আরও এক সদস্য
ভি-এর পর তালিকায় রয়েছেন সেলেনা গোমেজ (দ্বিতীয়), বিলি আইলিশ (তৃতীয়), বিটিএসের জিমিন (চতুর্থ) ও ব্ল্যাকপিঙ্কের লিসা (পঞ্চম)। শুধু সংগীত নয়, ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের সঙ্গেও প্রতিযোগিতায় ভি স্থান করে নিয়েছেন সামগ্রিক ইনফ্লুয়েন্সার তালিকায়।

রোনালদো-মেসির পরই ভি
বিশ্বজুড়ে ইনস্টাগ্রামের শীর্ষ এক হাজার ইনফ্লুয়েন্সারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভি। তাঁর আগে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (প্রথম) ও লিওনেল মেসি (দ্বিতীয়)। সংগীতশিল্পীদের মধ্যে ভি-ই এখন সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে, এমনকি সেলেনা গোমেজকেও তিনি পেছনে ফেলেছেন। কাইলি ও কেন্ডাল জেনার তালিকায় তাঁর পরে রয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ প্রভাবশালী, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে তৃতীয়
‘লাভ উইনস অল’ গানটির গায়ক ভি এখন যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি, আর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে আছেন তৃতীয় স্থানে। একজন এশীয় তারকার জন্য এটি এক বিরল অর্জন।

আরও পড়ুনবিটিএসের জাংকুকের অজানা কষ্টের গল্প উঠে এল এই বইয়ে০৬ জুলাই ২০২৫

কীভাবে ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে প্রভাবশালী এশীয় তারকা হলেন ভি?
৪ জুলাই পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে ভি-এর অনুসারী সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ, যার মধ্যে ১ কোটি ২৪ লাখের বেশি শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই। কোনো কে-পপ তারকার জন্য যা একটি রেকর্ড।

সামরিক দায়িত্ব শেষে মাত্র ২৫ দিনে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার, যা কে-পপ জগতের মধ্যে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি।

গত ৬০ দিনে তাঁর ইনস্টাগ্রাম এনগেজমেন্ট রেট ছিল ২০ দশমিক ৬ শতাংশ, যা বিশ্বের যেকোনো সেলিব্রিটির মধ্যে সর্বোচ্চ।

তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম ব ট এস র ইনফ ল য য ক তর

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে নিহত খুবি শিক্ষার্থী রিংকীর মরদেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সেশনাল ট্যুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে এদিন সকল ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সেশনাল ট্যুরের সময় রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকী নিহত হন। দুর্ঘটনায় নিহত রুবিনা আফসানা রিংকির মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হচ্ছে ।”

তিনি বলেন, “এই শোকাবহ ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে, সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত আছেন। তিনি নিজে এবং সহকারী পরিচালকসহ কর্মকর্তারা খাগড়াছড়ি রওনা হয়েছেন।”

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে নিহত শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। 

এদিকে, সাজেকে শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সেশনাল ট্যুর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার কাকলি রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ ৪র্থ বর্ষ টার্ম-২ এর সেশনাল ট্যুরে অংশগ্রহণরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল দূরপাল্লার সেশনাল ট্যুর স্থগিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের হাউসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত রুবিনা আফসানা রিংকী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতরা সবাই একই বিভাগের শিক্ষার্থী।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ