যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার উচ্চ মান, ইংরেজি ভাষাভাষী দেশ হওয়া, ফান্ডিং সুবিধা ও জীবনযাত্রার মান। তবে আবেদনের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত পুরো যাত্রাটি দীর্ঘ, জটিল ও সময়সাপেক্ষ। এ সময়ে হতাশা ও অনিশ্চয়তা একেবারে স্বাভাবিক। ‘অ্যাডমিশন হবে, কি হবে না’—এমন উদ্বেগও মাঝেমধ্যে পেয়ে বসে। তবে সুসংগঠিত প্রস্তুতি থাকলে এই দীর্ঘ যাত্রাও সহজ হয়ে উঠতে পারে।

শুরুটা কোথায় করবেন

ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ দেওয়া (IELTS বা TOEFL) আবেদনপ্রক্রিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। অনেকেই মনে করেন, বেশি স্কোর পেলে ভর্তি বা ফান্ডিং পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়। তবে বাস্তবে ন্যূনতম রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করলেই যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্কোরের জন্য অযথা দুশ্চিন্তা না করে প্রস্তুতির অন্যান্য বিষয়েও সমান গুরুত্ব দিন।

আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, যেভাবে মিলবে সুযোগ১২ মার্চ ২০২৫বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কৌশল

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাই উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। প্রথমেই ঠিক করুন, আপনি কোন বিষয়ে পড়তে চান। এরপর দেখুন, কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেই বিষয়ে সেরা এবং কোথায় ফান্ডিং সুবিধা বেশি। লোকেশন, কোর্সের কাঠামো, গবেষণার সুযোগ এবং অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের বিষয়গুলোও বিবেচনা করুন। ফান্ডিংয়ের সুযোগ যেখানে বেশি এবং যা আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য পূরণে সহায়ক, সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিন।

মাস্টার্স বনাম পিএইচডি : আবেদনপদ্ধতি

মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সাধারণত সেন্ট্রাল অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করা হয়। পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে STEM (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথমেটিকস—এই চার বিষয়ের প্রথম অক্ষর মিলিয়ে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে স্টেম এডুকেশন) বিষয়ে প্রফেসরের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, তাঁদের গবেষণা তহবিল থেকেই শিক্ষার্থীদের বেতন এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। নন-STEM পিএইচডির ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল অ্যাপ্লিকেশন যথেষ্ট, তবে প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সব সময়ই ভালো। তাঁদের কাজ পর্যালোচনা করুন এবং কীভাবে আপনার দক্ষতা তাঁদের গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করুন।

ছবি: খালেদ সরকার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: অধ্যাপক
বিভাগ: ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীদের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ও মার্কেটিং) উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে কমপক্ষে সাত বছর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রার্থীদের ইনডেক্সড/ডিওআই (ডিজিটাল অবজেক্ট আইডেন্টিফায়ার) সংবলিত মানসম্মত জার্নালে কমপক্ষে ১২টি গবেষণা প্রকাশনা থাকতে হবে। শিক্ষক হিসেবে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের সামগ্রিক শিক্ষা ও শিক্ষা আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিশেষ অবদানও যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হবে। বিভাগের অভ্যন্তরীণ পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।
বেতন স্কেল: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা

যেভাবে আবেদন
সার্টিফিকেট, মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ও অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্রের সত্যায়িত প্রতিলিপিসহ ১১ কপি দরখাস্ত পাঠাতে হবে।

আবেদন ফি
রেজিস্ট্রারের অনুকূলে এক হাজার টাকা মূল্যের পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট পাঠাতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা
রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০।

আবেদনের শেষ সময়
৩১ আগস্ট ২০২৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ