কুমিল্লার মুরাদনগরে নিপীড়নের শিকার সেই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শারমীন সুলতনা।  

পুলিশ জানায়, গত ২৬ জুন রাতে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। পর দিন মুরাদনগর থানায় তিনি বাদী হয়ে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ২৮ জুন ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে তিনি লিখিতভাবে জানান, ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে তিনি আগ্রহী নন। তাই পরীক্ষা ছাড়াই পুলিশ তাকে নিয়ে মুরাদনগরে ফিরে আসে। ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়ায় ওই সময়ে একাধিক মানবাধিকার সংস্থাও এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমীন সমকালকে বলেন, মামলার পর বিধি মোতাবেক ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেওয়া হলেও তিনি এতে সম্মতি দেননি। কিন্তু পরে মামলার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষার গুরুত্ব তাকে বোঝানো হয়। পর তিনি রাজি হন এবং পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী বর্তমানে তার বাবার বাড়িতে থাকছেন না। তবে তার নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র দনগর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরের মা, ছেলে ও মেয়েকে হত্যার মামলা ডিবিতে

দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর মুরাদনগরে মা, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে সোমবার রাতে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলার কাগজপত্র আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত কাজের পাশাপাশি বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে মাদক ব্যবসা ও একটি মোবাইল চুরির বিরোধ নিয়ে মব তৈরি করে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন, রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি এবং ছেলে রাসেল। এ সময় গুরুতর আহত হন রুবির মেয়ে রুমা আক্তার। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী ৩৮ জনকে এজহার নামীয় এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় র‍্যাব এবং সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত  ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিরা হলেন, কড়ইবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মিয়া (মেম্বার), রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাস্টার, দুলাল, আকাশ, নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদ। এদের রিমাণ্ডে নিতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ আদালত আদেশ দিতে পারেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হলে ডিবি পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদালতে চার আসামির কেউই জবানবন্দি দেননি
  • ১২ দিন পর নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন, রিমান্ড শেষে ৪ আসামি কারাগারে
  • মামলা ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা
  • মুরাদনগরের মা, ছেলে ও মেয়েকে হত্যার মামলা ডিবিতে
  • মুরাদনগরে নারী নির্যাতন: রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে তোলা হবে আজ
  • সমকামীতার জেরে রূপগঞ্জে পারভেজকে হত্যা , গ্রেপ্তার ২
  • ‘মূল হোতা’ গ্রেপ্তার না হওয়ায় চারদিক থেকে ‘খুনের হুমকি পাচ্ছে’ পরিবার
  • নরসিংদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে গণধোলাই 
  • মুরাদনগরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে সামাজিক অস্থিরতা