বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটুপানি, দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ
Published: 10th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় একটি সড়কের উন্নয়নকাজ নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আস্করিয়া এলাকার প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত বছর জুলাইয়ে নেওয়া প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার ও পৌরসভার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ হয়নি। খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখা সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুসমান জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাঁশখালী পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ তিন কিলোমিটার সড়কটির উন্নয়নে ১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০২৪ সালে প্রকল্পের টেন্ডার হয়। এতে কার্যাদেশ পায় ইউনূস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে ঢিমেতালে কাজ করছে। যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় পথচারী ও এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আলী আহমদ জানান, কাজ শেষ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে আস্করিয়া সড়কটি মিনি পুকুরে পরিণত হয়েছে। গত এক বছরে এখানে পথচারীরা অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
বাঁশখালী পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মো.
বাঁশখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরোদমে কাজ করতে পারেনি। শিগগির সড়কটির কাজ শেষ হবে বলে ঠিকাদার তাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইউনুস বলেন, সড়কটির কাজ কখন শেষ হবে, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কাজের বিষয়ে জানতে প্রকল্প সাইটে থাকা তাঁর প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট