শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন একটু আলাদা। পড়াশোনায় কখনোই ছিলেন না প্রথম সারির ছাত্র; বরং ছিলেন সেই ‘দুষ্টু ছেলে’, যাকে স্কুল বদলাতে হয়েছে বারবার। ১২টি স্কুলে পড়েছেন। আর নবম ও দশম শ্রেণিতে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন ২১ বার! এইচএসসিতেও দুই বছরে হিসাববিজ্ঞানে অকৃতকার্য হয়েছেন দুইবার! তাঁর ভাষায়, ‘টেনেটুনে পাস করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় আনন্দ।’ বলছিলাম ভার্চুয়্যাল দুনিয়ার আলোচিত নাম সালমান মুক্তাদিরের কথা।

২০১২ সাল। অনলাইন কনটেন্ট তখনো অনেকের কাছে ‘অবাস্তব’ স্বপ্ন। সেই সময় নিজের নোকিয়া এন৯৫ দিয়ে গিটার বাজিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করলেন ইউটিউবে। ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিলেন ‘সালমান দ্য ব্রাউনফিশ’। এই ‘ব্রাউনফিশ’ নামটিরও রয়েছে একটি মজার ইতিহাস।

সালমান মুক্তাদির.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা

দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।

বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।

তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।

সিডনিতে গাইছেন তাহসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ