বিগত সরকারের আমলে টেলিযোগাযোগ খাতে লাইসেন্স প্রদান করে ‘অতিরিক্ত লেয়ার ইনজেক্ট’ করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ৩ হাজার ৪০০-এর বেশি লাইসেন্স দিয়ে দেশের টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমকে অপব্যবহার করা হয়েছে বলেন তিনি। ফলে এই খাতে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং নীতি সংস্কার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকটির আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

টেলিযোগাযোগ খাতের অপারেটরদের উদ্দেশে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নিজ নিজ স্বার্থ ছাড় দেওয়ার বিষয় নিয়ে নিজেদের (লাইসেন্সধারীদের) মধ্যে আলোচনা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা না থাকলে সরকার সবচেয়ে ভালো নীতিমালা দিলেও তা কার্যকর হবে না।

নতুন টেলিযোগাযোগ নীতিমালা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ যেখানে হয়েছে, সেখানে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে কাউকে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া প্রতিযোগিতার জন্য ভালো নয়।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পড়েন এমটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার। টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.

) মো. এমদাদ উল বারী, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের সিইও ইওহান বুসে, আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, টেলিযোগাযোগবিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির প্রমুখ।

গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১