বিইউএফটিতে শেখা ও নেটওয়ার্কিংয়ের বড় সুযোগ
Published: 13th, July 2025 GMT
সারা বিশ্বে পোশাকের প্রায় ১ দশমিক ৮৪ ট্রিলিয়ন ডলারের এক বিশাল বাজার আছে। আকারে এটি স্মার্টফোনের বাজারের তুলনায় প্রায় চার গুণ বড়। সারা বিশ্বেই এই খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটরা যেন এই বৈশ্বিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) কোর্সগুলো। সাড়ে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি অনুষদের ১৫টি প্রোগ্রামে পড়ছেন। গত ১০ জুলাই বৃষ্টিস্নাত এক সকালে আমরা হাজির হই বিইউএফটিতে। ঢাকার তুরাগের নিশাতনগরে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস।
সময়ের সঙ্গে তাল রেখে শেখাদেশের পোশাকশিল্প খাতের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ আছে বলেই বিইউএফটির অনেক স্নাতক এরই মধ্যে নামী বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়ালমার্ট, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, এইচঅ্যান্ডএম, লি অ্যান্ড ফাং, জারাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন তাদের অ্যালামনাইরা।
আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫দেশীয় পোশাক খাতে বিইউএফটির যে গ্র্যাজুয়েটরা অবদান রাখছেন, তাঁদের মধ্যে একজন আফসানা ফেরদৌসী। এরই মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে তাঁর একটি স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে উঠেছে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আফসানা বলছিলেন, ‘ক্যাম্পাসের লাইব্রেরিতে বইপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতেই আমার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন দেখার শুরু। স্কেচিং, প্যাটার্ন, ড্র্যাপিং ও সুইং, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন বিষয় হাতে–কলমে শিখতে হয়েছিল। বিইউএফটির একটা ভালো দিক হলো, এখানে শুধু সৃজনশীলতার চর্চাই নয়, কারিগরি দিকগুলোও শেখানো হয়। দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টসের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে বলেই এখানকার শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্কিং ও কাজের সুযোগ বেশি।’
আইয়ুব নবী খান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম