তদন্ত কমিটি থেকে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি সেক্রেটারির পদত্যাগ
Published: 13th, July 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি থেকে দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন পদত্যাগ করেছেন।
আজ রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.
শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরও শিক্ষক বলেন, আমার সামনে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি নিজেই এটার বিচার চাই। কোষাধ্যক্ষকে আহ্বায়ক করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রইছ উদদীন পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিনকে স্থলাভিষিক্ত করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আজ রোববার সকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে দ্রুত বিচারের দাবিতে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
এদিন বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘যেই হাত শিক্ষক মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘ছাত্রদলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘এক দুই তিন চার, অছাত্ররা ক্যাম্পাস ছাড়’, এমন নানা স্লোগান দেন তারা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা। একইসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও ও যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জব ছ ত রদল র পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনকে নিয়ে মন্তব্য, বন্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন নেটওয়ার্ক এবিসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বাতিলের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে শোর হোস্ট জিমি কিমেলের বক্তব্য, যেখানে তিনি কনজারভেটিভ প্রভাবশালী চার্লি কার্কের হত্যার পটভূমিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। খবর ভ্যারাইটির
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেট নাইট শোগুলোর একটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার এই চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসেছে, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করে নানা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন।
‘জিমি কিমেল লাইভ!’–এর সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি আমেরিকার জন্য দারুণ খবর।’
চার্লি কার্ক ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র। গত সপ্তাহে ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গুলিতে নিহত হন। ২২ বছর বয়সী টাইলার রবার্টসন এই হত্যার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।