ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে যুবলীগের এক নেতাকে অপহরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে তাকে তুলে নেওয়া হয়। আজ রোববার ভোরে পুলিশের একটি দল তাকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে উদ্ধার করে। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়। 

ভুক্তভোগী শামীম হোসেন মোল্লা শৈলকুপার গাড়াগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। 

শামীম হোসেনের ভাষ্য, ‘শনিবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে কাজ শেষে আমি শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ নিজের গ্যাস পাম্পে বসে ছিলাম। রাত ১১টার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে কয়েকজন লোক সাদা পোশাকে এসে ডিবি পরিচয়ে আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গাড়িতে বিভিন্ন পথ ঘুরে তারা অচেনা জায়গায় ফেলে চলে যায়। এর মধ্যে তারা আমার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমি বাড়ি ফিরেছি।’

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খানের ভাষ্য, শনিবার রাতে যুবলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে তার সিএনজি পাম্প থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার বাবা সাব্দার হোসেন মোল্লার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে চক্রটি। বিষয়টি জানার পর জেলা পুলিশের একাধিক দল তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে রোববার ভোরে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় চার অপহরণকারীকে আটক করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ য বল গ ন ত অপহরণ উদ ধ র য বল গ শ লক প

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর

সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে আট দিন আগে অপহরণ হওয়া এক কিশোরীর খোঁজ এখনো মেলেনি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। মেয়েকে জীবিত ফেরত পেতে ব্যাকুল হয়ে আছে পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে অপহৃতের বাবা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

আরো পড়ুন:

আইজিপির সঙ্গে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

মেয়েটির বাবার করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দেন আশাশুনির খড়িয়াটী গ্রামের পীর আলী সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়া। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২ অক্টোবর মাদারাসায় যাওয়ার পথে গোলাম কিবরিয়া তার সহযোগীদের সহায়তায় মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্তরা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় জিডি করেন মেয়েটির বাবা, যার নং ১৩১২, তাং- ২৭/১০/২৫। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়ার মোবাইলে কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বলেন, “মেয়েটির পরিবার সাধারণ ডায়েরি করেছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে পারব।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় বছর ধরে নিখোঁজের পর ফেনীতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার, সেই আহাদ আসলে কে
  • সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর