নাটোরের লালপুরে থানা হেফাজত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের ১৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এ সময় চিপ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আল-আমিন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন– উপজেলা যুবদলের সদস্য শাকিবুল আলম সুলভ, মাইনুল ইসলাম বিপ্লব, গোপালপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা ভুবন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রায়হান বকির সুইট, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, সোহাস, মিল্টন, সুমন মেহেদী, সজীব, তানভীর, মালেক, আরিফ, চঞ্চল, লিটু, রাকিব ও বাপ্পি। ওই নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।

নাটোর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রুহুল আমিন তালুকদার টগর জানান, ৮ এপ্রিল লালপুরে প্রেপ্তারের পর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা। এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লালপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। রোববার মেয়াদ শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উপজেলা যুবদলের সদস্য শাকিবুল আলম সুলভ বলেন, এগুলো ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। আমারা আইনিভাবে মোকাবিলা করব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র উপজ ল য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে নেতাসহ ৬০ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ

ভারতের এক মাওবাদী বিদ্রোহী নেতা ও প্রায় ৬০ জন যোদ্ধা আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র রাজ্যের গাদচিরোলি এলাকায় তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

ওই মাওবাদী নেতার নাম মাল্লোজুলা ভানুগোপাল রাও। তিনি ‘সোনু’ নামে পরিচিত। মাওবাদী গেরিলাদের সঙ্গে গত শতকের আশির দশক থেকে যুক্ত ছিলেন সোনু।

এমন সময় আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটল, যখন মাওবাদীদের বিদ্রোহীদের থামাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ভারত সরকার। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে এই বিদ্রোহীদের দমন করতে চায় নয়াদিল্লি।

গাদচিরোলি নামের যে এলাকায় মাওবাদী সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তার কাছে ছত্তিশগড় রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, ‘যাঁরা স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরে এসেছেন, তাঁদের স্বাগত জানাই। তবে যাঁরা ফিরে আসবেন না, তাঁদের যথাযথভাবে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে।’

এর আগে গত আগস্টে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা তাদের সশস্ত্র সংগ্রাম স্থগিত করছে। ভারত সরকারের বারবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারতে মাওবাদী সবচেয়ে শক্তিশালী হয়েছিল চলতি শতকের শুরুর দিকে। তখন তাদের ১৫ থেকে ২০ হাজার যোদ্ধা ছিল। ভারতের তিন ভাগের প্রায় এক ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত তারা। তবে বিগত কয়েক বছরে ভারত সরকারের কঠোরতার কারণে মাওবাদীদের তৎপরতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে নেতাসহ ৬০ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ