বাগেরহাটের চিতলমারীতে নাতনীকে হয়রানির প্রতিবাদ করায় দাদি আলেয়া বেগমকে (৮০) হত্যা করেছে দুই যুবক।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার উমাজুড়ি গ্রামে হত্যার শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাওছার বাবনা (২৮) ও আনসার বাবনা (২২) নামে দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আলেয়া বেগম উমাজুড়ি গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের স্ত্রী। অভিযুক্ত কাওসার ও আনসার একই গ্রামের আসমত বাবনার ছেলে।

আরো পড়ুন:

‘মিষ্টি’ কম নেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় ২ ভাই গ্রেপ্তার

নিহত আলেয়া বেগমের ছেলে ভ্যানচালক ফেরদাউস হাওলাদার জানান, তার দুইটি ছেলে ও চারটি মেয়ে। কাওসার বাবনা প্রায়ই তার মেয়েদের হয়রানি করত। আজ তার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়। এ সময় কাওসার বাবনা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে। শিশুটি তার মাকে বিষয়টি জানায়।

এরপর শিশুটির দাদি আলেয়া বেগম নাতনীকে হয়রানির কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনসার ও কাওসার ইট এবং পাথর দিয়ে আলেয়া বেগমের মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

চিতলমারী থানার ওসি এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, “কাওসার বাবনা ও আনসার বাবনা নামের দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। নিহত আলেয়া বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ র ব বন আনস র

এছাড়াও পড়ুন:

‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল

শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ