থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। দুই পক্ষের তীব্র গোলাবর্ষণে বেড়েছে নিহতের সংখ্যাও। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংঘাতে থাইল্যান্ডের অন্তত ১৫ জন এবং কম্বোডিয়ায় একজনের প্রাণহানি হয়েছে।

সীমান্ত নিয়ে বিরোধের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। আজ শুক্রবার ছিল সংঘাতের দ্বিতীয় দিন। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই কম্বোডিয়া হামলা শুরু করে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী। তাদের ভাষ্যমতে, হামলা ৬ এলাকা থেকে ১২ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। হামলা হচ্ছে স্কুল ও হাসপাতালেও।

এসব হামলায় কম্বোডিয়া কামানের গোলা ও রাশিয়ার তৈরি বিএম-২১ রকেট উৎক্ষেপণব্যবস্থা ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছে ব্যাংকক। হামলার দায় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকারের ওপর চাপিয়েছে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, বেসামরিক লোকজনকে নির্বিচার লক্ষ্যবস্তু করাটা যুদ্ধাপরাধ। দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

কম্বোডিয়ার হামলায় আজ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। থাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই বেসামরিক লোকজন। এ ছাড়া ১৫ সেনাসদস্যসহ আহত হয়েছেন ৪৬ জন। সংঘাতের মধ্যে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ডের হামলায় কত জন হতাহত হয়েছেন বা কতজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানায়নি কম্বোডিয়া সরকার। আজ রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে জানতে চাওয়া হলে জবাবও দেয়নি তারা। তবে দেশটির ওদ্দার মেয়ানচে প্রদেশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংঘাতে দেশটিতে ১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। ১ হাজার ৫০০ পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

‘আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি’

সীমান্ত নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিরোধ শত বছরের বেশি পুরোনো। ১৯০৭ সালে ফরাসি ঔপনিবেশিক সরকার দুই দেশের মধ্যে একটি সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। ওই মানচিত্র নিয়ে আপত্তি ছিল থাইল্যান্ডের। ২০০৮ সালে সীমান্তে বিরোধপূর্ণ এলাকায় ১১ শতকের একটি মন্দির নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। পরে বছরের পর বছর ধরে সীমান্ত সংঘাতে দুই দেশেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় গত মে মাসে। সে সময় সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হন। এর পর থেকে দুই দেশই সীমান্তে সেনা বাড়াতে থাকে। এরই মধ্যে সম্প্রতি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হন থাইল্যান্ডের এক সেনা। ওই ঘটনার জেরে গত বুধবার কম্বোডিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নেয় থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকেও ব্যাংকক থেকে বহিষ্কার করা হয়।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত শুরু হয়েছিল তা মোয়ান থম নামের একটি মন্দিরের কাছে। সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে পং তুয়েক গ্রামের বাসিন্দা এই কম্বোডীয়রা। সংঘাতের রেশ পৌঁছেছে ওই গ্রামেও। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন তাঁরা। অস্থায়ী শিবির বানিয়ে নিচ্ছেন বিশ্রাম। আজ কম্বোডিয়ার ওদ্দার মিয়াচে প্রদেশে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ব ড য় র

এছাড়াও পড়ুন:

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডে‌কে‌ছে সরকার

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

আজ দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। 

শুধু বৈধ নিরাপত্তা পাশধারী স্বীকৃত সাংবাদিকরা এতে অংশ নিতে পারবেন। 

প্রেস উইং থেকে  স্বীকৃত সাংবাদিকদের সোমবার দুপুর ১২টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ