যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার প্রায় ২০ শতাংশ কর্মী শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদায় নিচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার নাসার একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রায় ৩ হাজার ৮৭০ কর্মী নাসা ছাড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মুখপাত্র বলেছেন, এ সংখ্যা আগামী কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহে পরিবর্তিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এসব কর্মী নাসা ছাড়ার পর সংস্থায় থেকে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা হবে প্রায় ১৪ হাজার।

পলিটিকোর বরাতে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসার কর্মীদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ৬০০ জনের চাকরি হারানোর পেছনে রয়েছেন ট্রাম্পের সাবেক ঘনিষ্ঠ মিত্র ধনকুবের ইলন মাস্ক। তিনি সরকারি খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে গঠিত নতুন ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’–এ দায়িত্ব পালনকালে এসব কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তিনি নিজেই এ বিভাগ থেকে সরে দাঁড়ান।

হোয়াইট হাউস আগামী বছরের জন্য সংস্থাটির মোট বাজেটের এক-চতুর্থাংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অনেক মহাকাশ মিশন বাতিল করা হয়েছে এবং ২০২৬ সালে নাসার বিজ্ঞান বাজেটের প্রায় অর্ধেক কাটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত নাসার প্রায় ১২ কোটি ডলারের অনুদান বাতিল করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস আগামী বছরের জন্য সংস্থাটির মোট বাজেটের এক-চতুর্থাংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অনেক মহাকাশ মিশন বাতিল করা হয়েছে এবং ২০২৬ সালে নাসার বিজ্ঞান বাজেটের প্রায় অর্ধেক কাটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কমপক্ষে চারজন মহাকাশচারীসহ নাসার প্রায় ৩০০ সাবেক ও বর্তমান কর্মী সম্প্রতি সংস্থার অন্তর্বর্তী প্রধান শন ডাফিকে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন। ডাফি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন একান্ত অনুগত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। ৭ জুলাই নাসায় নিয়োগ পান তিনি।

মহাকাশ অভিযানে প্রাণ হারানো ১৭ নভোচারীকে ‘দ্য ভয়েজার ডিক্লারেশন’ শিরোনামের আনুষ্ঠানিক এ চিঠি উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে সতর্ক করে বলা হয়, যদি নাসার বিজ্ঞান গবেষণার অনুদান, কর্মীসংখ্যা ও আন্তর্জাতিক মিশনের ওপর প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়, তবে এর ভয়ানক পরিণতি হতে পারে।

কমপক্ষে চারজন মহাকাশচারীসহ নাসার প্রায় ৩০০ সাবেক ও বর্তমান কর্মী সম্প্রতি সংস্থার অন্তর্বর্তী প্রধান শন ডাফিকে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন। মহাকাশ অভিযানে প্রাণ হারানো ১৭ নভোচারীকে চিঠিটি উৎসর্গ করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নাসায় বড় কোনো পরিবর্তন আনলে তা ধীরে ও পরিকল্পিতভাবে করা উচিত, যেন ঝুঁকিগুলো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু গত ছয় মাসে যেভাবে দ্রুত ও অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা আমাদের মিশনকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং নাসার কর্মীদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘যখন আমাদের নেতারা মানুষের নিরাপত্তা, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহারের চেয়ে রাজনৈতিক ফায়দাকে বেশি গুরুত্ব দেন, তখন আমাদের মুখ খুলতেই হয়। এই বাজেট কাটছাঁট পরিকল্পনাহীন আর তা কংগ্রেসের অর্থ বরাদ্দ–সংক্রান্ত আইনেরও লঙ্ঘন। এর পরিণতি শুধু নাসার জন্য নয়, পুরো দেশের জন্যই বিপজ্জনক।’

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই হচ্ছেন১১ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বর ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রায়ই তরুণদের দেখা যায় সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে ভুগতে। ফলে অনেক সময় যথেষ্ট মেধা, আগ্রহ ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ক্যারিয়ারে ভালো করতে পারেন না। তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা জোগাতে প্রথম আলো ডটকম ও প্রাইম ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পডকাস্ট শো: লিগ্যাসি উইথ এমআরএইচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় নবম পর্বে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ আর খান। আলোচনার বিষয় ছিল ‘রিয়েল এস্টেটে সততা, বিশ্বাস, পরিবার ও মানবিক মূল্যবোধ।’

‘কাজের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল আর সৎ থাকতে হবে। যদি মনে করেন আপনি কোনো কাজে ভালো, তাহলে চেষ্টা কখনো বিফলে যাবে না।’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তরুণদের উদ্দেশে এ পরামর্শ দেন বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ আর খান।

পডকাস্ট শো: লিগ্যাসি উইথ এমআরএইচে অতিথি হিসেবে এসে তরুণদের এই পরামর্শ দেন তিনি। পডকাস্ট শোর এ পর্বটি গতকাল শনিবার প্রথম আলোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচারিত হয়।

পডকাস্টের শুরুতেই সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট সেক্টর নিয়ে আজ থেকে চার দশক আগে আপনার ধারণা কী ছিল?

উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘১৯৭৯ সালে বুয়েট থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর আমি বুয়েটেই প্রথম কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করি। সে সময় ঢাকায় বেশ কয়েকটি সুপরিচিত ভবনের নকশা করার সুযোগ পাই। কিছুদিন পর আমি মাস্টার্স করার কথা ভাবি, কারণ বুঝেছিলাম—আরেকটি উচ্চতর ডিগ্রি ছাড়া পেশাগতভাবে নিজেকে আরও এগিয়ে নেওয়া কঠিন। সেই সময় স্কলারশিপের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছিল, তাই এর মধ্যেই আইবিএতে ভর্তি হই। সেখানে ম্যানেজমেন্ট ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দারুণ এক্সপোজার পাই। এদিকে কিছুদিন পরই বিদেশে পড়ার স্কলারশিপও পেয়ে যাই। দেশে ফিরে এসে আমি ইস্টার্ন হাউজিংয়ে যোগ দিই।’

এফ আর খান আরও বলেন, ‘ইস্টার্ন হাউজিংয়ে যোগ দিয়েই বুঝলাম, আরে, এটা তো দারুণ! এখানে নিজেই নকশা করতে পারি একজন স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার হিসেবে, নিজেই সেটি নির্মাণ করতে পারি আবার বিক্রিও করতে পারি। শুধু তা–ই নয়, গ্রাহকের জন্য সার্ভিস এবং বিক্রয়–পরবর্তী সেবা দেওয়ারও সুযোগ আছে। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটিই একধরনের ইকোসিস্টেম, যেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে।’

প্রসঙ্গক্রমে বিটিআইয়ের যাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে এফ আর খান বলেন, ‘আমি এবং আমার দুজন সহকর্মী মিলে বিটিআই প্রতিষ্ঠা করি। তাঁদের মধ্যে একজন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তিনি বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন তিনি পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন। আরেকজন সহকর্মী ছিলেন, যিনি আইবিএ থেকে পড়াশোনা করেন, তিনি মার্কেটিং দেখতেন। আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দায়িত্ব নিই। এভাবেই আমরা ১৯৮৫ সালে বিটিআই শুরু করি।’

এই দীর্ঘ যাত্রায় সবচেয়ে বড় শেখাটা কী ছিল? জানতে চাইলে এফ আর খান বলেন, সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই সফলতা আসে। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের বড় শিক্ষা এটিই—যদি তুমি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে।’

এরপর সঞ্চালক জানতে চান, আপনি বাংলাদেশের ফ্ল্যাট মালিকানা আইন ও মান নিয়ন্ত্রণে যে কাজ করেছেন, সেটার পেছনে অনুপ্রেরণা কী ছিল?

উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘জাপানে পড়তে গিয়ে আমি দেখেছি, ওরা সম্পূর্ণ কমপ্লায়েন্স বেজড সিস্টেমে চলে। এই মানসিকতাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। দেশে ফিরে দেখি মালিকানা আইন তখনো অস্পষ্ট। আমরা পার্লামেন্টে গিয়ে আইন পাস করাই, যাতে অ্যাপার্টমেন্ট মালিকেরাও জমির আনুপাতিক মালিক হন। পরবর্তী সময়ে ব্যাংক লোন, ইনভেস্টমেন্ট, শেয়ার বণ্টন—সবকিছু আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে সক্ষম হই।’

আপনি নীতিনিষ্ঠ ব্যবসা নিয়ে সব সময় কথা বলেন। এই নীতি রক্ষা করে ব্যবসা চালানো কতটা কঠিন? জানতে চাইলে এফ আর খান বলেন, এটি কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। অনেক সময় চাপে পড়তে হয়েছে; কিন্তু কখনো শর্টকাট নেননি তিনি। তাঁর মতে, সঠিক পথে চললে লাভ একটু দেরিতে আসে কিন্তু স্থায়ী হয়।

আপনার দাদা এবং আপনার পরিবারের মূল্যবোধ আপনাকে কতটা প্রভাবিত করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘অত্যন্ত গভীরভাবে। আমার দাদা ছিলেন একজন গণিতজ্ঞ, খুব নীতিমান মানুষ। ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে শিখেছি, মানুষকে কীভাবে সম্মান দিতে হয়। এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিটা পরে জাপানে পড়তে গিয়ে আরও গভীর হয়েছে। এই মানসিকতাই আমার ব্যবসার ডিএনএতে আছে। আমার চাচা প্রয়াত ড. ফজলুর রহমান খান, বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনিও আমার জীবনে অসাধারণ প্রভাব ফেলেছেন। উনিই আমার নাম রেখেছিলেন। উনি ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা। তাঁর কাজ, তাঁর বিনয় আর সৃষ্টিশীলতা আমাকে শিখিয়েছে যে প্রকৌশল মানে কেবল কাঠামো নয়—এটা মূল্যবোধ ও মানবিকতার মেলবন্ধন।’

এই সেক্টরকে অনেকে শুধু মুনাফার ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। আপনি কীভাবে ভারসাম্য রাখেন নৈতিকতা ও ব্যবসার মধ্যে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘নীতির সঙ্গে ব্যবসা করলে একটি দীর্ঘমেয়াদি আস্থা তৈরি হয়। গ্রাহক যদি বুঝতে পারেন আপনি সৎ, তাহলে তাঁরা বারবার ফিরে আসবেন। আমরা বিটিআইতে এই বিশ্বাসেই কাজ করি।’

সঞ্চালক এ পর্যায়ে বলেন, আজকাল স্মার্ট হোম, টেকনোলজি—এসব নিয়ে আলোচনা হয়। আপনি মানবিক সংবেদনশীলতার কথা বলেন। এই ভারসাম্য কীভাবে দেখেন?

উত্তরে এফ আর খান বলেন, প্রযুক্তি মানুষের জন্য, মানুষ প্রযুক্তির জন্য নয়। আর নিয়ম ও আইনকানুন—সবই তৈরি হয় সমাজ ও মানুষের উন্নতির জন্য। তাই নিয়ম মেনে চললে কিন্তু মানবিকতার জায়গাটা কখনো হারায় না। ক্লায়েন্টের প্রতি সহানুভূতি রাখতে হবে। প্রয়োজনে কঠোরতা থেকে নমনীয়তায় যেতে হবে—এটাই মানবিক দৃষ্টিকোণ।

আলোচনার শেষ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আপনার জীবনে কোনো অপূর্ণ ইচ্ছা আছে কি না?

এ বিষয়ে এফ আর খান বলেন, ‘অপূর্ণ ইচ্ছা বলতে চাই না। কারণ, এখনো চেষ্টা করছি এটি নিয়ে এবং আমার বিশ্বাস এটি পূর্ণ হবে। তা হলো অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং—সাধারণ মানুষের জন্য বাসস্থান। শুনতে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মনে হলেও এর পেছনে কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই বললে ভুল হবে। তবে আমি আমার টেকনিক্যাল এবং প্রফেশনাল জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্লোবাল চায়না ফেলোশিপ, গবেষণার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রে
  • অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিতেই
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই বইমেলার তারিখ ঘোষণা
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • ইপিএফএল সামার রিসার্চ প্রোগ্রাম: আইএলটিএস ছাড়াই আবেদন
  • অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সতর্ক করবে গুগল ক্রোম
  • ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭% কমতে পারে, বাংলাদেশে কেন কমছে না