গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাসচাপায় মান্নান হাওলাদার মনু (৫৫) নামে এক সাবেক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গোপালগঞ্জ-পয়সার হাট সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন মান্নান হাওলাদার মনু। রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

নাটোরের সড়কে ঝরল ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতার প্রাণ

ঠাকুরগাঁওয়ে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের

নিহত মান্নান হাওলাদার মনু কোটালীপাড়া উপজেলার কয়খা গ্রামের রজ্জব আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি ঘাঘর (বর্তমানে পৌরসভা) ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য।

নিহত মান্নানের বড় ছেলে বাবুল হাওলাদার বলেছেন, গোপালগঞ্জ সদরে আমার বোনের বাড়ি থেকে ভ্যানে করে কোটালীপাড়ার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বাবা। ভ্যানটি গোপালগঞ্জ-পয়সার হাট সড়কে মাঝবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে পয়সার হাট থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী একটি বাস ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে আমার বাবা গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ঢাকা/বাদল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জিম লেকারের সেই অমর কীর্তি

ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিতে তাঁর পাশে বসেছেন অনিল কুম্বলে ও এজাজ প্যাটেল। তবে এটা তো জিম লেকারের কীর্তির অর্ধেক মাত্র । প্রথম ইনিংসেও ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচে উইকেট ১৯ উইকেটের রেকর্ড তো এখনো লেকারেরই। তাঁকে নিয়ে উৎপল শুভ্রর এই লেখা পাঠককে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ১৯৫৬ সালের ৩১ জুলাই, ওল্ড ট্রাফোর্ডে। যেদিন পূর্ণতা পেয়েছিল জিম লেকারের ওই অর্জন।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে জিম লেকারের কীর্তির ৪৩ বছর পর অনিল কুম্বলে তাঁর পাশে বসেছেন, ৬৫ বছর পর আজাজ প্যাটেল; তবে লেকারের রেকর্ড আসলে ভাঙবে না কোনোদিনই। হ্যাঁ, এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটিতে লেকার, কুম্বলে আর এজাজ প্যাটেল তিনজনেরই সমান অধিকার। কিন্তু ১৯৫৬ সালের ৩১ জুলাইয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের দশে–দশ তো লেকারের কীর্তির শেষ নয়। বরং বলা যেতে পারে কীর্তির অর্ধেক। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসেও যে ১০ উইকেটের মাত্র একটিই পাননি লেকার। এক টেস্টে ১৯ উইকেটের এই রেকর্ডটিকে চিরজীবী বলে মোটামুটি মেনে নিয়েছেন সবাই। 'কোনোদিন ভাঙবে না'...এমন রেকর্ডের তালিকায় ব্র্যাডম্যানের ৯৯.৯৪ ব্যাটিং গড়ের পাশেই রাখা যায় এটিকে।

১৯৯৯ সালে দিল্লি টেস্টের আগ পর্যন্ত ইনিংসের ১০ উইকেটই নিয়ে নেওয়ার রেকর্ডটিকেও অবশ্য এমনই মনে করা হতো। ওই টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের ১০টি উইকেটই নিয়ে অনিল কুম্বলে লেকারের পাশে বসে যান। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এজাজ প্যাটেলও সঙ্গী হন এই দুজনের। নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনারের দশে–দশ কীর্তি প্রথম ইনিংসে বলে লেকারের ম্যাচে ১৯ উইকেটের রেকর্ড ছোঁয়ার একটা গাণিতিক সম্ভাবনা ছিল তাঁর। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ৪ উইকেটের ৩টিই নিয়ে যা আরও প্রবল করে তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর হয়নি, ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরই ভারত ইনিংস ঘোষণা দেয়, ওই ৭ উইকেটের ৪টি নিয়েছিলেন প্যাটেল। ম্যাচে ১৪ উইকেট, অনিল কুম্বলেরও তা–ই ছিল।

জিম লেকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ