কক্সবাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিলে বাস, পর্যটকসহ আহত ২০
Published: 26th, July 2025 GMT
কক্সবাজারের রামুতে পর্যটকবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিলে পড়ে গেছে। এতে পর্যটকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাংলা বাজারের দরগাহপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বাসে থাকা যাত্রীদের অভিযোগ বাসচালক ঘুম নিয়েই চালাচ্ছিলেন। এ কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি বিলে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, মারসা পরিবহন নামের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। বেপরোয়া গতি ও চালক ঘুমিয়ে যাওয়ায় বাসটি বিলে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান।
জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ আহমদ ও আলী আহমদ প্রথম আলোকে, বাসটির গতি ছিল বেপরোয়া। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটিতে অনেক পর্যটক ছিল। আহতের মধ্যে কয়জন পর্যটক সে বিষয়ে তাঁরা জানেন না।
জানতে চাইলে রামু হাইওয়ে থানা-পুলিশের পরিদর্শক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।