মাগুরায় সড়কের ওপর থেকে ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
Published: 27th, July 2025 GMT
মাগুরা শহরের ঋষিপাড়া এলাকায় ছায়াবীথি সড়কে এক কলা ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সড়কের ওপর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
নিহত ব্যক্তির নাম ভজন কুমার গুহ (৫৫)। তিনি শহরের কলা ব্যবসায়ী ছিলেন এবং ঋষিপাড়ায় সেলিম রেজার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই সাধন কুমার গুহ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দুই ভাই। নিজেদের জায়গাজমি নেই। আগে পৌরসভার সাতদোহা পাড়ায় ভাড়া থাকতেন। চার মাস আগে ঋষিপাড়ায় ভাড়া বাসায় ওঠেন। গতকাল রাতে তিনি রাতের খাবারের জন্য বসছিলেন, এমন সময় বাইরে থেকে ডেকে স্থানীয় লোকজন বলেন যে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
সাধন বলেন, ‘আমাদের কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না। আমার ধারণা, এই বাড়ির আশপাশের কেউই খুন করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসি চাই।’
খবর পেয়ে মাগুরা সদর থানা-পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল রাতেই আবির হাসান (৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ১০টার কিছু পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় আবির হাসানকে সন্দেহ হলে তাঁকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁর ঘর তল্লাশি করে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি তদন্তাধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।