ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, আসন ২৩৯০টি
Published: 29th, July 2025 GMT
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রীদের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী ভর্তি করা হবে।
আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা১. ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের জন্য: বিজ্ঞানে (বাংলা মাধ্যম) জিপিএ ৩.
২. অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের জন্য: বিজ্ঞানে (বাংলা মাধ্যম): জিপিএ ৫.০০, বিজ্ঞানে (ইংরেজি ভার্সন) জিপিএ ৫.০০, ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৪.৫০ এবং মানবিকে ৪.০০ পেতে হবে।
আসনসংখ্যাবিজ্ঞানে (বাংলা মাধ্যম): ১৫৩০টি, বিজ্ঞানে (ইংরেজি ভার্সন) ৩০০টি, ব্যবসায় শিক্ষায় ২৮০টি এবং মানবিক ২৮০টি আসনে সর্বমোট ২ হাজার ৩৯০ ছাত্রী ভর্তি করা হবে।
অনলাইনে আবেদন ও নিশ্চায়নের তারিখ
প্রথম পর্যায়: অনলাইনে আবেদন ৩০ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট ২০২৫, নিশ্চায়নের তারিখ ২০ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট ২০২৫।
দ্বিতীয় পর্যায়: অনলাইনে আবেদন ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট ২০২৫, নিশ্চায়নের তারিখ ২৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট ২০২৫।
তৃতীয় পর্যায়: অনলাইনে আবেদন ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, নিশ্চায়নের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর২৩ জুলাই ২০২৫দরকারি তথ্য১. ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে যারা এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তাদের অবশ্যই প্রথম পছন্দ হিসেবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্বাচন করতে হবে। উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রত্যেক ছাত্রীকে সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ নির্বাচন করতে হবে।
২. আবেদন ফি ২২০ টাকা মাত্র।
৩. ইংরেজি ভার্সন বিজ্ঞান শাখা থেকে পাস করা ছাত্রীরাই শুধু ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
৪. পরবর্তী সময়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত মেধাতালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন নিশ্চায়ন ফি ৩৩৫ টাকা পরিশোধ করে প্রাথমিক নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
৫. নিশ্চায়ন সম্পন্ন করার পর ভিএনএসসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন প্রক্রিয়ায় ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে ভর্তিপ্রক্রিয়ার বিস্তারিত পদ্ধতি পরবর্তী সময়ে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
# অনলাইন আবেদনের ওয়েব লিংক: https://esvg.xiclassadmission.gov.bd/
একাদশে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বা চতুর্থ বিষয় হিসেবে উচ্চতর গণিত নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে জীববিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় নিতে পারবেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ন স ক ল অ য ন ড কল জ আগস ট ২০২৫ ভ ক র নন স আগস ট থ ক র জন য ব যবস ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা
মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমাই দেশে প্রথম আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি প্রথম দেশে কাঠামোগতভাবে আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে স্পষ্ট করেন। একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এন লারমার ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
‘বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটি’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
আলোচনা সভায় লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, ১৯৫৫-৬৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘বাইনারি বিভাজন’ পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশে সরকার। ‘বাইনারি’ মনস্তত্ত্বকে এখনো এই দেশে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এম এন লারমা ‘বাঙালি হেজিমনি’র বিরুদ্ধে আত্মপরিচয়ের বয়ান বাঁচিয়ে রাখতে তৎকালে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন।
জেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, কাপ্তাই বাঁধ না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই ছাত্র এম এন লারমার প্রতিবাদী জীবন শুরু হয়। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর যে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, এম এন লারমা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালেই এসব বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলেন।
দীপায়ন খীসা বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন বা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কখনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে সংলাপ করেনি। আমরাও এই দেশের অংশ। তাহলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের কেন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হলো না?’ তিনি বলেন, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরও অংশীদারত্ব আছে। কিন্তু অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে তাদেরই ভুলে গেল এই সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, ‘বাঙালি হয়ে যাও’ কথাটার পেছনে বাঙালি মুসলিমদের জাত্যভিমানের ব্যাপারটি রয়েছে। এম এন লারমা বাংলাদেশের মধ্যে থেকে নিজেদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক মেইনথিন প্রমীলা, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অং শোয়ে সিং মারমা।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এম এন লারমাকে সম্মান জানিয়ে কবিতা পাঠের মাধ্যমে। কবিতা পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেই চাকমা ও লাল নিকিম বম। কবিতা আবৃত্তির পর এম এন লারমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়া চাকমা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিরণ মিত্র চাকমা, জেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য অনন্ত বিকাশ ধামাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা।