আইপিএলে কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন কারস্টেন
Published: 29th, July 2025 GMT
বিরাট কোহলিকে সরিয়ে পার্থিব প্যাটেলকে অধিনায়ক বানানোর পরিকল্পনা করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন বেঙ্গালুরুর সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী।
তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু কোচ গ্যারি কারস্টেনের অধীন খেলার সময় পার্থিবকে নেতৃত্বে আনার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্তই হয়ে গিয়েছিল।
২০১৩ সাল থেকে বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব করেছেন কোহলি। দায়িত্বে থেকেছেন ২০২১ সাল পর্যন্ত। সে বছর আইপিএল শুরুর আগেই ঘোষণা দেন আর আইপিএল অধিনায়কত্ব করবেন না।
আমার মনে হয় পার্থিব অধিনায়ক হতে যাচ্ছিল। গ্যারি কারস্টেনের পার্থিবকে অধিনায়ক করার পরিকল্পনা ছিল।মঈন আলীতাঁর অধীন বেঙ্গালুরু ক্রিকেট বিশ্বে একটা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সেরাটা দিতে পারেনি। ২০১৬ সালে ফাইনালে খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। ৯ মৌসুমের মধ্যে তাঁর অধীন পাঁচবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বেঙ্গালুরু। ২০১৯ সালও ছিল এমন একটি বছর। সেবার ১৪ ম্যাচের ৮টিতে হারে বেঙ্গালুরু, টুর্নামেন্ট শেষ করে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।
সে মৌসুমের মাঝামাঝিই নাকি কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল কোচ গ্যারি কারস্টেন। সেই খবর এত দিন পর জানা গেল ইন্ডিয়া টুডেতে দেওয়া মঈনের সাক্ষাৎকারে। ২০১৯ ও ২০২০ আইপিএল মৌসুমে তিনি বেঙ্গালুরুতে খেলেছেন।
কোহলির সঙ্গে মঈন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রস ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল