গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন
Published: 3rd, August 2025 GMT
আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!
কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।
কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চান না কোনো খেলোয়াড়, ‘বেকায়দায়’ ক্লাব কর্তৃপক্ষ
বিশ্বের বেশির ভাগ ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার। রিয়ালে আসার জন্য কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো ফুটবলারও বছরের পর বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যান। ফলে কেউ রিয়ালের মতো ক্লাবে আসার পর ক্লাবটি সহজে ছাড়তে চাইবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু এরপরও প্রতি মৌসুমে নানা কারণে ফুটবলারদের দলবদলের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং অনেককেই ক্লাব ছাড়তে হয়। তবে চলতি দলবদলে ভিন্ন এক পরিস্থিতির দেখা মিলেছে রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে কোনো খেলোয়াড়ই রিয়াল ছাড়তে চাচ্ছেন না।
মার্কার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর কোনো খেলোয়াড় এবং তাঁদের এজেন্ট ক্লাব ছাড়ার আগ্রহ দেখাননি। এমনকি কোনো প্রস্তাবও নিয়ে আসেননি কেউ। দলের প্রতি এমন নিবেদন প্রশংসনীয় হলেও এটি ক্লাবের জন্য একটি বড় সমস্যারও সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে রিয়ালের স্কোয়াড পর্যাপ্ত খেলোয়াড়ে পরিপূর্ণ।
আরও পড়ুনফাঁকা হচ্ছে রিয়ালের চেক বই, দলবদলে রেকর্ড খরচ ২,৫১৫ কোটি টাকা২১ জুলাই ২০২৫কিছু ফুটবলার দল না ছাড়লে রিয়াল বিভিন্ন পজিশনে প্রয়োজন অনুযায়ী খেলোয়াড়ও কিনতে পারবে না। সব মিলিয়ে একধরনের অস্বস্তিতেই আছে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
এদিকে সময় খুব দ্রুতই গড়িয়ে যাচ্ছে। লা লিগায় নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে এ মাসের মাঝামাঝিতে। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতিও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ১২ আগস্ট অস্ট্রিয়াতে দেশটির ক্লাব ডব্লিউএসজি টিরোলের বিপক্ষে প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতির প্রথম ম্যাচ খেলবে রিয়াল।
ফলে কোচ জাবি আলোনসোর জন্য এখনই সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কাকে কোথায় খেলাবেন এবং দলের ভেতরে কার কী ভূমিকা হবে, তা–ও এখন স্পষ্ট করতে হবে তাঁকে। কিন্তু কোচ নিজেই যদি না জানেন, কে যাবেন আর কে আসবেন, তবে তাঁর জন্য দল সাজানো বেশ কঠিনই।
রিয়াল এই মুহূর্তে বেশ কজন খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গনসালো গার্সিয়া ও এনদ্রিকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা। কিলিয়ান এমবাপ্পে নিশ্চিতভাবে নিয়মিত একাদশে থাকবেন। ফলে ফরোয়ার্ড হিসেবে গার্সিয়া ও এনদ্রিকের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে হবে আলোনসোকে।
রিয়ালের আরেক সমস্যার নাম ডেভিড আলাবা। ৩৩ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান এই ডিফেন্ডার ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের একজন। পাশাপাশি ক্লাবের অন্যতম চোটপ্রবণ খেলোয়াড়ও তিনি। সব মিলিয়ে রিয়াল চায় তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে। তবে মার্কা বলছে, আলাবা নিজেই নাকি ক্লাব ছাড়তে চান না।
আরও পড়ুন২৫ বছর পর রিয়ালে ব্যালন ডি’অরজয়ী কেউ রইলেন না২৯ জুলাই ২০২৫রিয়ালে হুমকিতে আছে ফারলাঁ মেন্দির ভবিষ্যৎও। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে বিক্রির তালিকায় রাখা হয়নি। কিন্তু ক্লাবের অভ্যন্তরে এই লেফট–ব্যাকের অবস্থান বেশ দুর্বল। বিশেষ করে আলভারো কারেরাসের আগমন এবং ক্লাব বিশ্বকাপে ফ্রান গার্সিয়ার পারফরম্যান্স আরও কোণঠাসা করে দিয়েছে মেন্দিকে।
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসো আছেন বিপাকে