কন্যাসন্তানের বাবা হলেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা। আজ রোববার সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মেয়ের জন্ম হয়েছে বলে জানান তিনি। শ্যামল মাওলা প্রথম আলোকে জানান, মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।
এর আগে ফেসবুকে মেয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অভিনেতা। মেয়ের নাম রেখেছেন সানাভ মাওলা।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মাহা শিকদারকে বিয়ে করেন শ্যামল মাওলা। মাহা অভিনেত্রী, ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে পরিচিত।
২০১৮ সালের এপ্রিলে নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘ক্যাশ’ নামে একটি থ্রিলার ড্রামা দিয়ে ওটিটিতে নাম লেখান শ্যামল মাওলা। ‘সদরঘাটের টাইগার’, ‘মানি হানি’, ‘মাইনকার চিপায়’ থেকে ‘মহানগর’ সিরিজে কাজ করে আলোচিত হয়েছেন শ্যামল মাওলা।

আরও পড়ুনশ্যামল মাওলা, সেরা সময়টা পার করছেন ওটিটিতেই১৭ মে ২০২৩

একসময় মঞ্চে কাজ করতেন। ২০০৬ সালে টিভি নাটকে অভিষেক হয় শ্যামল মাওলার। পরে চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর ‘নাদান’ নামে একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ছবিটির দুর্গাপূজায় মুক্তির কথা রয়েছে।
এর বাইরে একটি অমনিবাস চলচ্চিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। পাশাপাশি নতুন আরেকটি সিরিজে অভিনয়ের কথাবার্তা চলছে।

আরও পড়ুন‘পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্র করার সময় বিশ্বাস করেছি, আমিই পুলিশ’১৭ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাবি প্রোভিসির ফেসবুক স্টোরি, শিক্ষক নিয়োগে জামায়াত নেতার সুপারিশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খানের ফেসবুক স্টোরিতে শিক্ষক নিয়োগে জামায়াতের সাবেক এমপির সুপারিশ করা প্রবেশপত্র দেখা গেছে। স্টোরি ১৫ মিনিট পরেই ডিলিট করে দেন অধ্যাপক ফরিদ। তবে এটুকু সময়ের মধ্যেই সেই স্টোরির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে প্রকাশ করা ওই স্টোরিতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের প্রবেশপত্রে জামায়াত সমর্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক এমপি মো. লতিফুর রহমান সুপারিশ করেছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

এদিকে ওই প্রার্থীর প্রবেশপত্র ভুলভাবে স্টোরিতে চলে এসেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ফরিদ খান ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার ফেসবুক স্টোরিতে একজন আবেদনকারীর প্রবেশপত্র কীভাবে আপলোড হয়েছে বুঝতে পারিনি। তবে মোবাইল ফোনটি নিয়ে আমার ছেলে বেশ কিছু সময় গেম খেলছিল। তখন হয়তো ভুলবশত স্টোরিতে এসে গেছে।’’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো আবেদনকারী বা তাদের পক্ষে বিভিন্ন সূত্রে সাক্ষাৎ করতে এসে সিভি, প্রবেশপত্র দিয়ে যায়, আবার অনেকে ফোন করে আবেদনকারীর প্রবেশপত্র হোয়াটসঅ্যাপে সেন্ড করে, কেউ টেক্সট করে সুপারিশ পাঠায়। রুয়ার নির্বাচনের সময় একজন অ্যালামনাস যিনি সাবেক এমপি ছিলেন উনার সাথে পরিচয় হয়। কয়েকদিন আগে উনি ফোন করে উনার এলাকার একজন আবেদনকারীর কথা বলেন এবং তার প্রবেশপত্র সেন্ড করেন।’’

শুধু জামায়াত নেতা নন, বিভিন্ন সূত্রে এমন সুপারিশ করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘পরিচিত অনেকেই এরকম সুপারিশ করেন। তাদের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক, বন্ধু, সহকর্মী, রাজনীতিক অনেকেই আছেন। এই মুহূর্তে আমার অফিসে এবং মোবাইল ফোনে ডজনখানিক এরকম সুপারিশ আছে। তবে এগুলো কোনোভাবেই লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় প্রভাব ফেলে না।’’

বিষয়টির জন্য অধ্যাপক ড. ফরিদ পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আশাকরি বিষয়টি নিয়ে কেউ ভুল বুঝবেন না।’’

সুপারিশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান বলেন, ‘‘চাকরিপ্রার্থীর প্রবেশপত্রে সুপারিশ করা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে ওই প্রার্থীর বিষয়ে উপ-উপাচার্যকে ফোন করেছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, ‘বিগত দিনে ভাইবাগুলোতে অনেক বাজে চর্চা হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে আমরা এটা চাই না।’’

প্রবেশপত্রে করা সুপারিশ এবং স্বাক্ষর কার জানতে চাইলে অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, ‘‘যেভাবে স্টোরিতে থাকা ওই প্রবেশপত্র দেখা গেছে, আমার কাছে ওভাবেই এসেছিল। যিনি পাঠিয়েছেন তার লেখা কি না আমি নিশ্চিত নই।’’

রাজশাহী/ফাহিম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ