কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। ছোট পর্দার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখলেও এখন সিনেমা, ওয়েব সিরিজ—সব মাধ্যমেই তার সরব উপস্থিতি। ব্যক্তিগত জীবনে ছোটবেলার বন্ধু শাক্য বোসের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন এই অভিনেত্রী। কয়েক বছর আগে তার এ সংসার ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের খবর জানালেও কেন তার সংসার ভেঙেছে তা এতদিন জানাননি।
কয়েক দিন আগে ‘স্টেট আপ উইথ শ্রী’ পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন শোলাঙ্কি রায়। এ আলাপচারিতায় এ অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের সমস্যাটা হয়েছিল মূলত দূরত্ব নিয়ে। আমরা দুজন দুটো আলাদা টাইম জোনে থাকতাম। তারপর আমার কাজের যা সময় ছিল, তারপর আমাদের আর সেভাবে কথা হতো না। আমার যখন কাজ শেষ, ও তখন ঘুম থেকে উঠত আর অফিসের জন্য বেরিয়ে যেত। হ্যাঁ, আমাদের বিয়ে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমরা বৈবাহিক জীবনযাপন করতাম না। একটা সময় আমরা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিই, বিষয়টি খুব খারাপ দিকে যাচ্ছে।”
পরের ঘটনা বর্ণনা করে শোলাঙ্কি রায় বলেন, “পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে কেউ না কেউ বিদ্রোহ ঘোষণা করবেই। তাছাড়া ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম, ওর পক্ষে সব ছেড়ে এখানে এসে থাকা সম্ভব নয়। আর আমার পক্ষেও সম্ভব হয়নি। অবশ্যই, প্রথম ছয় মাস চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।”
আরো পড়ুন:
আবার প্রেমে পড়েছেন ‘ঝিলিক’
বিয়ে করলেন শ্রাবন্তীর প্রাক্তন স্বামী
বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে সামাজিক ট্যাবুর কথা স্মরণ করে শোলাঙ্কি বলেন, “মুশকিলটা হচ্ছে ডিভোর্স আমাদের দেশে এখনো একটা ট্যাবু। আর অনেকেই মনে করেন ডিভোর্স মানেই—হয় মেয়েটি ঠকাচ্ছে অথবা ছেলেটি।”
২০১৮ সালের শুরুর দিকে স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্য বোসকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। ধুমধাম করে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। এরপর বরের হাত ধরে নিউজিল্যান্ড পাড়ি জমান। বছর খানেক পর ভারতে ফিরেন শোলাঙ্কি। এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে নিউজিল্যান্ডে যাতায়াত। তারপর জানা যায় তাদের ডিভোর্স হয়েছে। মাঝে সোহম মজুমদারের সঙ্গে শোলাঙ্কির প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। যদিও গুঞ্জন উড়িয়ে দেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র হয় ছ ল আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।