ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় অস্ট্রেলীয় এক সাংবাদিককে ভর্ৎসনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মন্তব্য করেন, ওই সাংবাদিক ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি করছেন’।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

লন্ডন পৌঁছেছেন ট্রাম্প

নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করবেন ট্রাম্প

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গণে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন লায়ন্স ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তিনি কতটা ধনী হয়েছেন।

প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি না। আমার সন্তানরা ব্যবসার দেখাশোনা করে।”

এরপর ট্রাম্প যোগ করেন, “আমার মনে হয়, আপনি এখন অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্ষতি করছেন। অথচ তারা আমার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।” 

তিনি আরো জানান, শিগগিরই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমি তাকে আপনার ব্যাপারে বলব। আপনি খুব খারাপ সুরে কথা বলেছেন।”

এরপর যখন লায়ন্স আরেকটি প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন, ট্রাম্প ঠোঁটে আঙুল রেখে তাকে চুপ থাকার ইঙ্গিত দেন এবং এবং অন্য সাংবাদিকের দিকে এগিয়ে যান।

এ ঘটনার কিছু পরেই হোয়াইট হাউজের একটি অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে এই কথোপকথনের ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়, “ট্রাম্প একজন অভদ্র বিদেশি ভুয়া সংবাদ পরিবেশনকারীকে উচিত শিক্ষা দিলেন।”

এদিকে, ট্রাম্পের এমন প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিক জন লায়ন্স বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দাবি ‘হাস্যকর’। তিনি বলেন, “আমি গবেষণার ভিত্তিতে ভদ্রভাবে প্রশ্ন করেছি। এগুলো একেবারেই স্বাভাবিক সাংবাদিকতার অংশ, উসকানিমূলক নয়।”

এবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে তাদের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ফোর কর্নার্স–এর অংশ হিসেবেই লায়ন্স এসব প্রশ্ন করেছিলেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র শ ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার