ইউসিবির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
Published: 3rd, August 2025 GMT
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এজিএমে ব্যাংকটির শেয়ারধারীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহীর।
ইউসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির স্বতন্ত্র পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান মো.
গত বছরের ২৭ আগস্ট ইউসিবির পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে নতুন চেয়ারম্যান করা হয় ব্যাংকটির উদ্যোক্তা প্রতিনিধি শরীফ জহীরকে। এ ছাড়া নতুন পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে গঠিত ওই পরিচালনা পর্ষদের অধীনে এটিই ছিল প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে ইউসিবির অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। বার্ষিক সাধারণ সভায় এটিকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ পাঁচ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার বিষয়ে শেয়ারধারীরা সর্বসম্মত অনুমোদন দেন। পাশাপাশি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যুর বিষয়টিও সভায় অনুমোদন করা হয়।
সভায় পরিচালনা পর্ষদকে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য কৌশলগত অংশীদার খুঁজে বের করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এ জন্য তারা ব্যাংকিং, ডিজিটাল ব্যাংকিং, উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ডিএফআই) ও সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞ ও প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই এ কার্যক্রম বিদ্যমান সব নিয়ম মেনে ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, মাত্র ছয় মাসে ইউসিবি ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার নিট আমানত এবং ৩ লাখ নতুন হিসাব খোলার মাধ্যমে যেভাবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে, সে জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারধারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা শেষ করেন ইউসিবির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ফারুক আহাম্মদ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।