জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে ৮ জনের নাম বাদ
Published: 3rd, August 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে আটজনের নাম বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে চারজনের নাম গেজেটে দুবার এসেছে। বাকি চারজন সরাসরি জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন না। আজ রোববার রাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
যে চারজনের নাম গেজেটে দুবার এসেছে, তাঁরা হলেন ভোলার শাহজাহান (গেজেট নম্বর ৬১১), শরীয়তপুরের বাঁধন (গেজেট নম্বর ৮৩৬), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪) এবং সাভারের মো.
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলুর রহমান (গেজেট নম্বর ২২৯) তালুকদার ছিলেন পুলিশ সদস্য এবং তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫) জেল পলাতক আসামি ছিলেন এবং তাঁর বাড়ি নরসিংদীতে। বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং পরে সেখানেই মারা যান। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীতে।
তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮) পারিবারিক দ্বন্দ্বে মারা যান এবং এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
একটি স্বচ্ছ তালিকা চান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকায় আরও সংশোধন হবে। প্রথম দিকে কিছু ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এখন তা সংশোধন করা হচ্ছে।
সরকারি গেজেট অনুযায়ী, ২ আগস্ট পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা ছিল ৮৪৪। আজ ৮ জন বাদ দেওয়ার পর নতুন গেজেট অনুযায়ী শহীদের সংখ্যা ৮৩৬।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি দেশবাসী মেনে নেবে না: বাম গণতান্ত্রিক জোট
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন বাণিজ্যচুক্তির’ খবরে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ জোটের নেতারা বলেছেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি দেশবাসী মেনে নেবে না। একই সঙ্গে জনগণের সামনে চুক্তির খসড়া প্রকাশ এবং তাদের সম্মতি ছাড়া কোনো চুক্তি না করার আহ্বান জানানো হয়।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এর আগে সকাল ১০টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাম জোটের নেতারা বলেছেন, বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, তথাকথিত ‘ছাড়’-এর বিপরীতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি দামে গম ও এলএনজি কিনতে হবে, ২৫টি বোয়িং বিমান কিনতে হবে। ১১০টি মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিতে হচ্ছে এবং বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের খনিজসম্পদের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হচ্ছে, যা নিয়ে জনমনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
নেতারা আরও বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক সমঝোতা জোরদার করা হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এতে করে দেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং কূটনৈতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। এসব বিষয় পরিষ্কার করার দায়িত্ব সরকারের। অবিলম্বে চুক্তি প্রকাশ করে জনগণের সংশয় সরকারকেই দূর করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। আলোচনায় অংশ নেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, সাধারণ সম্পাদক বাবুল মোল্ল্যা, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন নান্নু।
এ ছাড়া ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান দিবসে বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট সমাবেশ করবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।