বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী রোকনকে ডিপ্লোমাধারীদের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শাবিপ্রবির প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শিক্ষাভবন-ই অতিক্রম করে গোলচত্বরে আয়োজিত সমাবেশ শেষে দুপুর পৌনে ৩টায় সিলেটের ডিসির বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

আরো পড়ুন:

আলী আমজদের ঘড়িঘরের পাশে বন্ধ হলো ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজ

শাকসু নির্বাচনে ধীরগতি, তৎপর ছাত্র সংগঠনগুলো

এদিন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ‘নো ক্লাস, নো এক্সাম, নো অ্যাটেনডেন্স’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। 

শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, “বুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী রোকনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে ডিপ্লোমাধারীরা। তাদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের ভাইয়ের গায়ে যদি নখের আঁচড়ও লাগে, তার জবাব আমরা রাজপথে দেব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।”

এ সময় তারা বৈষম্য নিরসনে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন।  দাবিগুলো হলো- নবম গ্রেড (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে সমানভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি হতে হবে, কোনোভাবেই কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না; দশম গ্রেড (উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) ডিপ্লোমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করতে হবে, এই পদে ন্যূনতম যোগ্যতা হবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, তবে উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবে; ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবীর ব্যবহার শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরা ব্যবহার করতে পারবেন, অন্য কেউ এই পদবী ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ