সিদ্ধিরগঞ্জের একটি ড্রেনে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার সিআই খোলার বউ বাজার এলাকায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আশপাশের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। ড্রেনের ৫ ইঞ্চি স্লাবগুলো ছিটকে গিয়ে ভেতরের ধুলো-ধোঁয়া চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নূর ইসলাম (৫০) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুই নারীও আহত হয়েছেন, যাদের নাম এখনো জানা যায়নি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের সময় বাজার এলাকায় কম লোক থাকার কারণে ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে আশেপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল কাসেম বলেন, আমি এবং আমার দোকানের দুই ক্রেতা এখানে বসে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ড্রেনের স্লাবগুলো প্রায় তিন ফুট উঁচুতে উঠে যায়। আশেপাশের বিল্ডিংগুলো কেঁপে ওঠে। আমরা সবাই ভয়ে চিৎকার করতে লাগলাম।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কনজারভেন্সি অফিসার বাবুল শ্যামল পাল জানান, বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই দায়িত্বশীলরা ঘটনাস্থলে গেছেন। 

তিনি বলেন, প্রতিবছর টেন্ডারের মাধ্যমে ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়। এ বছর যথাযথভাবে পরিষ্কার না করায় এই ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা শিগগিরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ